ঐতিহাসিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জনগোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত তফশিলি জাতিভুক্ত লোকজনদের জন্য মাছ চাষ বিষয়ক সরকারি সুযোগ সুবিধার বিষয় সহ মৎস্য প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাতে অভিনব সচেতনতা মূলক কর্মশালা হল নন্দীগ্রাম-১ উন্নয়ন ব্লকে।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে, ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ( এন এফ ডি বি), হায়দেরাবাদ এর অর্থায়নে , ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিশার্স কোঅপারেটিভস লিমিটেড (ফিশকোপফেড), নতুন দিল্লি এর সহযোগীতায় ও সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় তফসিলি জাতির মাছ চাষি, হ্যাচারি অপারেটর, চারামাছ উৎপাদক, যুবক-যুবতী ও মৎস্য উদ্যোক্তাদের জন্য এক দিনের সচেতনতা প্রচার মূলক কর্মশালার ১১ই জানুয়ারী ২০২৩ বুধবার জেলিংহাম, সোনাচুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালি কৃষ্ণ প্রধান, নিউদিল্লি থেকে আগত ফিশকোপফেডের কর্মকর্তা দৌলত রাম চৌধুরী সহ অন্যন্যরা। এদিন একশোজন তফশিলি জাতি ভুক্ত মানুষ প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।
এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (পিএমএমএসওয়াই) সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তফশিলি জাতি বা উপজাতিদের ভরতুকির পরিমান বেশি সেই বিষয়টি আলোচিত হয়। সেই সঙ্গে নোনা ও স্বাদু জলের মাছ চাষের জন্য জলজ কৃষি কাজের প্রসারে এবং মৎস্য ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের বিষয় গুলিও আলোচিত হয়। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন “এই কর্মসূচিটি এমনভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে যাতে মৎস্য উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার মধ্যে ফারাকগুলি দূর করা যায়, মাছের গুণমান বাড়ানো যায়, প্রযুক্তির আরও বেশি প্রয়োগ ঘটানো যায়; সেই সঙ্গে, মূল্য-শৃঙ্খল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও সুদৃঢ়করণ হয়” । মাছ চাষি দেবব্রত দাস বলেন তফশিলি জাতিদের আলাদা করে এমন গুরুত্ব দিয়ে মৎস্য প্রকল্পের বিষয়ে অবগত করানোয় আমরা খুব খুশি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত প্রশাসনিক ভাবে মাছ চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দেন।
Share your comments