কম খরচে রাজ্যের ভেনামি চিংড়ি চাষে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে তামিলনাড়ুর ড: জয়ললিতা মৎস বিশ্ব বিদ্যালয় ও একযোগে কাজ শুরু করেছে বেলগাছিয়ায় অবস্থিত রাজ্য প্রাণী ও মৎস বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়।রাজ্যে উপকূলবর্তী ২ লক্ষ ১২ হাজার হেক্টর নোনা জলের এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার হেক্টর জলাশয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষ হয়। এছাড়া ৯৫ হাজার হেক্টরে চিরাচরিত পদ্ধতিতে মাছ চাষ হয়। কম পক্ষে ৩০ হাজার চাষি ভেনামি চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত। দেখা গেছে এই সমস্ত চিংড়ি চাষিরা চেন্নই, অন্ধ্রপ্রদেশ বা ওড়িশা থেকে সিড আমদানি করেন। ইদানিং চাষিরা নানাভাবে লোকসানের মুখে পড়ছেন মাছের বৃদ্ধি কম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে। তামিলনাড়ুর ড: জয়ললিতা মৎস বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য এস ফেলিক্স জানিয়েছেন বাংলার চাষিরা চাইলে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া ভেনামি চিংড়ির খাবারের খরচ কমাতে ও মাছের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘বায়োফ্লক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন চাষিরা।
বায়োফ্লক্স হল উপকারি ব্যকটেরিয়া, অণুজীব ও শৈবালের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া পাতলা আবরণ যা জলকে ফিল্টার করে, জলের নাইট্রোজেন জাতীয় ক্ষতিকর উপাদানগুলি শোষণ করে নেয় এবং এর প্রোটিন সমৃদ্ধ উপাদান খাবার হিসেবে চিংড়ি গ্রহণ করতে পারে। সরাসরি পুকুরে বায়োফ্লক্স তৈরি করা যায় আবার আলাদা পাত্রে তৈরী করে পুকুরে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ভেনামিকে দিনে ৪ বার খাবার দিতে হয়। বায়োফ্লক্স প্রয়োগ করলে তিনবার খাবার দিলেই চলে।
- রুনা নাথ
Share your comments