পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের স্বনির্ভর করা এবং তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়ণের উদ্দেশ্যে কোচবিহার-১ ব্লকের জিরানপুরে তিনদিনের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। কোলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের উদ্যোগে, জিরানপুর ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানির সহযোগিতায় ৮-১০ ডিসেম্বর এই প্রশিক্ষণ প্রদান ও চাষীদের মাছচাষের সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কোচবিহার জেলা মৎসা আধিকারিক প্রণব বিশ্বাস এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের দুই বিজ্ঞানী ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও ডঃ দিলীপ কুমার সিংহ কি করে আধুনিক পদ্ধতিতে স্থানীয় ও দেশী মাছের চাষ করা যায় এবং দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের ক্ষতিকে অতিক্রম করে মাছচাষ করে কোচবিহারের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা আর্থসামাজিক উন্নয়ণ করতে পারেন সেই বিষয়ে নতুন দিক নির্দেশ করেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত হয় ২০ জন তপশীলি পুরুষ ও মহিলা। এ দিন চাষীদের হাতেনাতে মাছের খাবার তৈরী, জলের মূল্যায়ন ও মাটি পরীক্ষা করা শেখেন।
আরও পড়ুনঃ ভেনামি চিংড়ি চাষ নিয়ে অভিনব উদ্যোগ কাকদ্বীপে
কর্মশালায় উপস্থিত চাষীদেরকে জল ও মাটি পরীক্ষা করার কিউ ও প্রশিক্ষণ পুস্তিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে সহজসরলভাবে শেখানো হাতেকলমে প্রশিক্ষণ এবং উপযোগী চাষসামগ্রী প্রদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে এই ধরণের আরো স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্যও আবেদন জানান কর্মশালায় উপস্থিত পুরুষ ও মহিলারা।
আরও পড়ুনঃ শীতে রঙিন মাছের যত্ন নেবেন কীভাবে?
উল্লেখ্য, মাছ আমাদের প্রাণীজ আমিষের অন্যতম উৎস। আমাদের দেশে মিষ্টি জলে প্রায় ২৬০ প্রজাতির মাছ চাষ হয়। চাষযোগ্য মাছগুলো হলো রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, সিলভারকার্প, মিররকার্প, গ্রাসকার্প, কমনকার্প, বিগহেড, রাজপুঁটি, নাইলোটিকা, তেলাপিয়া, বিদেশি মাগুর, থাই পাঙ্গাশ ইত্যাদি। এই সব মাছ গুলির বিশেষ গুন রয়েছে। যেমন- এরা খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে না। ফলে বেশি সংখ্যক চাষ করা যায়। এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম থাকে। এবং এই ধরনের চাষ খুবই লাভ জনক। তাই মাছ চাষ শুরু করার আগে যদি একটু প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করা যায় তাহলে মাছ চাষে
Share your comments