বায়োট্রেন্ডস- একটি গ্রীণ টেকনোলজি কোম্পানি। উদ্ভিজ্জ উৎসের উপর ভিত্তি করে তৈরী এর পণ্যগুলি আধুনিক সুস্থায়ী কৃষিক্ষেত্রে উত্পাদনশীলতা ও উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কোম্পানির স্মার্টজেনেক্স পণ্য সারের গুণমান ও কৃষকদের ফসল উত্পাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং লাভজনক কৃষিক্ষেত্র অনুশীলন করতে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে এবং এর পরিবেশগত কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।
বায়োট্রেন্ডস-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমরা অরগ্যানিক সার্টিফায়েড প্রাপ্ত, স্মার্টজেনেক্সের উপর ভিত্তি করে বায়োট্রেন্ডস –এর প্রযুক্তির সাহায্যে, পণ্যগুলি তৈরী করার পরিকল্পনা করি, যা মাটিভিত্তিক মাইক্রোবিয়াল সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ের মূল দিকগুলিতে যেমন, রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ, সারের গুণমান বৃদ্ধি ইত্যাদিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব ছাড়া সহায়তা করে'। বিভিন্ন ফসলের ভিন্ন ভিন্ন সমাধান সহ, স্মার্টজেনেক্স সমন্বিত প্রযুক্তি পণ্য বিশ্বব্যাপী মূল কৃষি অঞ্চলে বিভিন্ন পন্থার মাধ্যমে ট্রায়াল স্বরূপ- এর মানপ্রদর্শন করেছে। বায়োট্রেন্ডস বায়োএগ্রি ও বায়োকীটনাশক উন্নয়নে এখন ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং বীজসংশোধন, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, প্রাক এবং ফসল সংগ্রহ পরবর্তী প্রযুক্তির জন্য উপযুক্ত পণ্য শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে।
উদ্ভিজ্জ উৎস ভিত্তিক প্রযুক্তির উপর তৈরী আমাদের পণ্য (অ্যালোভেরা), পরিবেশে এর কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই, কার্যত কার্বন নিরপেক্ষ এই পণ্যটি এবং সুস্থায়ী কৃষির জন্য এর উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বায়োট্রেন্ডস একটি বায়োটেকনোলজিকাল সংস্থা, ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় ৪ টি দেশে এর কাজ শুরু হয়েছে। আমরা বিশ্ব জুড়ে বিশেষত পূর্ব ইউরোপ এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সম্প্রসারণের সক্রিয় পর্যায়ে রয়েছি। বায়োট্রেন্ডস, এমন একটি সংস্থা, যাদের উদ্ভিজ্জ উৎস প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী পণ্য রয়েছে। সুতরাং, এই সকল কিছুর উপর ভিত্তি করে আমরা ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের উদ্ভাবনী পণ্য তৈরী করব। আমরা কমপ্লেক্স ফার্মেন্টেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। মেটাজেনোমিক প্রযুক্তির উপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের উদ্ভাবনী পণ্যগুলি তৈরী এবং একটি সংস্থা হিসাবে আমরা উন্নত জীবন ও পরিবেশের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রিউটার্স ইন সায়েন্টিফিক আমেরিকান, ৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪, জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কাছে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৬০ বছরের জন্য কৃষিক্ষেত্র। এই সমস্যার পাশাপাশি লক্ষণীয় যে, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত জমির ২/৩ ভাগ ২০৫০ সাল-এর মধ্যে আর আবাদযোগ্য থাকবে না, মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সমগ্র প্রভাব পড়ছে কৃষিক্ষেত্রে উত্পাদনশীলতার উপর। সাম্প্রতিককালে বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ১০ বিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য চাহিদা সেই সময়ের মধ্যে ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
কৃষিক্ষেত্রের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের চাষের উপযোগী জমি কম রয়েছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি একটি চ্যালেঞ্জ। খাদ্য সুরক্ষার সমস্যার নিরিখে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তদ্ব্যতীত, কোভিড-১৯-এর সাম্প্রতিক মহামারীর পরে, বিশ্বের কৃষকরা সাধারণত নিরাপদ ও জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন ফসলের চাষ করায় মনোনিবেশ করবেন। বায়োট্রেন্ড-এর নিরাপদ এবং উদ্ভিজ্জ উৎস ভিত্তিক এই পণ্যগুলি, যা সুস্থায়ী কৃষিতে সহায়তা করে, তা এই সমস্যার সমাধান করবে।
বর্তমানের কৃষি পদ্ধতি এবং ইনপুটগুলির দ্বারা খাদ্য উত্পাদন বিশ্বব্যাপী কৃষির সংকট। অবিলম্বে এর পরিবর্তন না হলে এটি বর্তমান কৃষিক্ষেত্রের ৬০ বছরের চ্যালেঞ্জের ফলস্বরূপ জায়গা নিতে চলেছে।
অগ্রগতির অন্যতম উপায় হল এই বিশ্বে আরও জৈবিক এবং সবুজ সুস্থায়ী কৃষিকাজের ব্যবহার, যা পরিবেশকে প্রভাবিত না করে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।
Share your comments