গত বৃহস্পতিবার ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন। সুখের কথা, এই বাজেটে কৃষিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষি পরিকাঠামোর দিকে যথেষ্ট নজর দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রীর পেশ করা সদ্য বাজেটে - যা খুবই আশাব্যঞ্জক। ভারতে ও অন্যান্য রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষকেরা আত্মহত্যাও করেছেন নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে। অথচ আমাদের এই দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের অর্থনীতির অনেকটা অংশ জুড়ে আছে ভারতীয় কৃষি। তাই কৃষি পরিকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া এবং কৃষকের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরী করা খুবই স্বাভাবিক। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে গত ৩১ শে জানুয়ারী, ’১৮ পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যে রাজ্য-বাজেট পেশ করেছেন, সেখানেও কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক মঙ্গলার্থে কৃষকদের বহু সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই কারণে কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কৃষি জাগরণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বাজেটে “ অপারেশন গ্রীণ” নামে এক নতুন প্রকল্পে তিন পচনশীল সবজির সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন সরকার কৃষকের দ্বারা উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ “ সহায়ক মূল্য দিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন। ২০১৮-১৯ সালে প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণের জন্য ১১ লক্ষ কোটি রাখা হয়েছে। দেশের ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে ২ হাজার কোটি টাকায় ২২ হাজার কৃষি বাজার তৈরী হবে যেখানে জৈব চাষও যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। ২০২২ এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের তৈরী বাজেটে, চাষের জমি শুধুমাত্র কৃষিকাজের জন্য কেনা হলে মিউটেশন ফি মুকুব করে দেওয়া হবে। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বাজেটে ১০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বৃদ্ধ কৃষকদের জন্য “ ওল্ড এজ পেনশন”- এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উণ্ণয়নের কথাও বাজেটে বলা হয়েছে।
আশা করি, দেশের কৃষকেরা এই বাজেটে সার্বিকভাবে লাভান্বিত হবে।
Share your comments