বিশেষজ্ঞদের মতে, উর্বর বা অনুর্বর জমিতে কম খরচে সহজে আপেল কুল চাষ করা যায়। তবে, চাষের আগে চাষিদের সঠিক জাতের চারা নির্বাচন করতে হবে। নতুন চাষিরা গাছ লাগানোর আগে ভালো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে গুণমানের চারা লাগাতে পারলে ভালো। বর্ষার পর গাছ লাগানো উচিত। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চারা বোনা যাবে। গাছ থেকে গাছ ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ১০ ফুট বাই ১০ ফুট রাখতে হবে। বিঘা প্রতি ২০০টির বেশি গাছ লাগানো যাবে। আকারে ছোট হওয়ায় গাছটি খুব সহজে পরিচর্যা করা যায়। তবে, গাছের মাঝামাঝি জলদি জাতের মিশ্র চাষ করা যাবে। গাছে প্রথম বছরে বিঘা প্রতি ৬০-৭০ কেজি ফল উৎপাদন হবে। পরবর্তীতে গাছের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন বাড়তে থাকবে। বছরে দু’বার ফলন পাওয়া যায়।
পরিণত গাছে চলতি মাস অর্থাৎ আগস্টে ফুল ধরতে শুরু করে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে ফুলের সময়। এসময় কোনও ধরনের রোগপোকানাশক স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না। ফুল ধরলে প্রতি ১০ লিটার জলের সঙ্গে ৩ মিলি ফাইটোনাল এম আই গুলে স্প্রে করতে হবে।
এতে ফলের আকার বাড়বে ও ভালোমানের ফলন হবে। আবার এপ্রিলে ফলন তোলার পর পরিচর্যার জন্য বেশি উচ্চতার গাছগুলিকে করাত দিয়ে কেটে দিতে হবে। ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে মাছি ক্ষতি করতে পারে। মাছির হাত থেকে ফল রক্ষা করতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চাষ করতে হবে। মাছি ধরার ফাঁদ ব্যবহার করে দমন করতে হবে। কিংবা মিষ্টি গন্ধযুক্ত গুঁড় বা পাকা ফলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে রাখলে এর মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে মাছি মারা যাবে।
- Sushmita Kundu (sushmita@krishijagran.com)
Share your comments