আজকালকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বায়ো ইনফরমেটিক্স নিয়ে পড়ার চাহিদা বাড়ছে। বায়োইনফরমেটিকস বিষয়টিতে বায়োলজির প্রায় প্রতিটি বিষয়েই বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার জন্য +২ লেভেলে অবশ্যই সায়েন্স নিয়ে পড়তে হবে এবং বিষয় হিসেবে থাকতে হবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, অঙ্ক বা সংখ্যাতত্ত্ব এবং জীববিদ্যা।
ছাত্রছাত্রিদের মধ্যে বায়ো ইনফরমেটিক্স নিয়ে আগ্রহ থাকার অন্যতম কারণ বিষয়টির প্রতি কৌতূহল। বায়ো ইনফরমেটিক্সের বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ার সাহায্যে বায়োলজিক্যাল এবং বায়োকেমিক্যাল তথ্যগুলিকে সংগ্রহ করে কম্পিউটারে স্টোর করে রাখা হয়। এখানে যেমন জীবন্ত কলা-কোষের তথ্য মজুত করা হয়, আবার বায়োলজিক্যাল বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রয়োগও করা হয়ে থাকে।
বায়ো ইনফরমেটিক্স এ যে বিষয়গুলি রয়েছে সেগুলি হল কম্পিউটার সায়েন্স, স্ট্যাটিস্টিক্স, ম্যাথামেটিক্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং। বায়োলজিক্যাল এবং জেনেটিক্যাল তথ্যগুলিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধু মজুত রাখাই হয় না, এগুলির সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে জিন ভিত্তিক ওষুধ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। বায়ো ইনফরমেটিক্সের স্ট্যাটিস্টিক্স এবং টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে মহামারি মোকাবিলা করা হয়, পাবলিক হেলথের কাজের সঙ্গে যুক্ত করে প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা হয় বা বিভিন্ন রকমের ওষুধ তৈরি করা হয়।
পরিবেশ বিদ্যা এবং কৃষি বিদ্যাতেও বায়ো ইনফরমেটিক্সের প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। নতুন ওষুধ বাজারজাত হওয়ার আগে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয় বায়ো ইনফরমেটিক্সের সাহায্যে।
প্লাস ১২ বা উচ্চ মাধ্যমিকে বায়োলজি, অঙ্ক বা স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে পাশ করে বায়ো ইনফরমেটিক্স নিয়ে বিএসসি পড়া যায়। বিএসসি করা থাকলে এমএসসি পড়ার সুযোগ মেলে বায়ো ইনফরমেটিক্সে।
বায়ো ইনফরমেটিক্স নিয়ে পড়লে বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সরকারি সংস্থাতেও কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। মূলত ডেটা ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল, ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়াল, ডেটা অ্যানালিসিস, সিকোয়েন্স অ্যাসেম্বলি, ডেটাবেস ডিজাইন অ্যান্ড মেন্টেন্যান্স, প্রোটিওমিক্স এবং ফার্মাকো জেনোমিক্সের মতো কাজ মেলে বায়ো-ইনফরমেটিক্স নিয়ে পড়লে।
তথ্য : বর্তমান পত্রিকা
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments