"ব্রাসেলস স্প্রাউট" নামটি বেশ কিছুদিন আগেও অপরিচিত ছিলো, বর্তমানে এটি বাংলার সবজিতে নব সংযোজন, শিশু বাঁধাকপি নামেই এটি আমাদের কাছে অল্পবিস্তর পরিচিত। সাধারণ বাঁধাকপির চেয়ে এর খাদ্যগুণ অনেকটাই বেশী, প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন, ও vit A ও D-তে সমৃদ্ধ বলে শহরাঞ্চলের calories conscious মানুষের কাছে এর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। একে নতুন, তায়ে লাভজনক, আবার চাষের কাজে জমিও লাগে অনেক কম, সেই কারণে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহু কৃষক এই নতুন সবজি চাষে বিশেষ ভাবে আগ্রহী।
চাষীদের মতে যদি বিজ্ঞানসম্মতভাবে বেবি ক্যাবেজ ফলানো যায়, তবে কাঠা প্রতি ফলনে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত্য লাভ হতে পারে।
নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সবজি বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ চন্দন কুমার মণ্ডলের মতে এই ধরণের বাঁধাকপির বীজ বপন করার মুখ্য সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস, বীজ বপনের জন্য বিঘা প্রতি ৫০-৬০ গ্রাম বীজ লাগে, এবং একবিঘা থেকে প্রায় ১০-১২ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়।
পদ্ধতি :
ব্রাসেলস স্প্রাউট উৎপাদন করতে হলে বেলে দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটির প্রয়োজন, বীজ পোঁতার আগে মাটির সাথে ভালো করে জৈব সার ও প্রয়োজন মতো কম্পোষ্ট সার মেশাতে হবে কারণ জৈব সারে চাষ হলে ফসলের গুণমান খুব ভালো থাকে। সারি তৈরির সময় এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব ৩ ফুট ও প্রতি গাছের মধ্যে দূরত্ব থাকবে দুই ফুট। বীজ পোঁতার পর বীজতলা থেকে চারা তৈরী হতে সময় নেয় ২০-২৫ দিন, ও ১৫ দিন অন্তর অন্তর সেচের কাজ করতে হবে। বাঁধা কপির রোগ পোকার মতোই এই ফসলের রোগ পোকা, তাই বাঁধাকপিতে যে পেস্টিসাইড ব্যবহার হয়, এতেও তাই। ফলন কালে একটানা ১৫-২০ দিন ফলন পাওয়া যায় এবং এক একটি গাছ থেকে প্রায় ৪৫-৬০ টি কপি পাওয়া যায় প্রতিটির ওজন গড়ে ৫০ গ্রাম করে।
বেবি ক্যাবেজের উন্নত প্রজাতি গুলি হলো, হিলস আইডল, অ্যামেজার, অলিভার, রিভাকো পার্ল ক্রিস্টাল, জেড ক্রস, প্রভৃতি।
- প্রদীপ পাল
Share your comments