নারকেল চাষের বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। দপ্তরের বাক্তব্য, অর্থকরী ফসল হিসাবে এই চাষে ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঠিক পরিচর্যায় চাষ করলে চারা বোনার বেশকিছু সময় পর থেকেই ফলন মেলে। তবে সুস্থ চারা নির্বাচনের বিষয়ে যথেষ্টই সতর্ক থাকতে হবে। লাগানোর বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করে। ফলন মেলে সারাবছরই। উপযুক্ত জাতের চারা নির্বাচন করে চাষে চাষিদের লাভের সম্ভাবনা অনেকটাই। ইদানীং অনেক শহরে অনেকে বাড়ির ছাদ, বারান্দায় শখেও নারকেল চাষ করছে। তবে চাষিরা জলদি জাতের নারকেলের চারা নির্বাচন করলে সহজেই লাভ করতে পারবেন। এমন গাছ সারিতে লাগালে বাণ্যিজ্যিকভাবেও উৎপাদন সম্ভব। অর্থকরী ফসল হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই চাষে জৈবসার প্রয়োগ করলে তা নারকেল গাছের পক্ষে খুবই উপকারী হবে। সেচের ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। সময়মতো ফুস আসা, ভালো ফলন, উপযুক্ত বৃদ্ধির জন্য চারা লাগানোর এক বছর বয়স থেকেই নিয়ম করে সার ব্যবহার করতে হবে। বর্ষার শুরুতে মাটিতে রস থাকে। সেই সময় গাছ প্রতি ২৫-৩০ কেজি জৈবসার প্রয়োগ করলে ভালো হয়। যেখানে চারা লাগানো হবে সেখানে জলের ব্যবস্থা করতে হবে। উইপোকা দমনে বীজ লাগানোর আগে মাটিতে ক্লোরোপাইরিফস প্রয়োগ করলে এই পোকার হাত থেকে রেহাই মিলবে। এক বছর বয়সি গাছগুলির মধ্যে যেগুলির গোড়ার বেড় ১০ সেন্টিমিটার হবে সেই চারাগুলিকে মূল জমিতে লাগাতে হবে। জমিতে নিয়মিতভাবে সেচ দেওয়া হলে গাছের বৃদ্ধি, ফলন ভালো হবে। উদ্যানপালন দপ্তর জানাচ্ছে, এই চাষে গাছে লালপোকা, পাতা খাওয়া পোকা, ইউপোকা, ইঁদুরের আক্রমণ খুবই বেশি হয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। নারকেল গাছে বেশকিছু রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এই চাষে কুঁড়ি শুকিয়ে যাওয়া, ঢলে পড়া, অপুষ্টিজনিত কারণে ফল ঝরে পড়ার মতো বিষয়গুলি বেশি করে লক্ষ করা যায়। বোর্দো মিশ্রণ প্রয়োগ করলে এসব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বোরাক্সের প্রয়োগেও এসব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
- Sushmita Kundu
Share your comments