ফ্রেঞ্চবিন এখন খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। সারা বছর বিনের আবাদ করে কৃষকেরা ভালো আয়ও করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার উপযোগি জাত যেমন পুসা পার্বতী, রত্না (বেঁটে গাছ); পেনসিল, পুসা হিমলতা (লতানে গাছ) ইত্যাদি শীতের মরশুমে খুব ভালো চাষ হয়। ফ্রেঞ্চবিনের চাষে পলিমাল্চিং ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়, রোগ পোকার থেকেও ফসলকে সুরক্ষিত রাখা যায়। আর পলিমাল্চ বলতে সিল্পাউলিনের সানকুলের ৩০ জি এস এম –এর পলিমাল্চ সর্বোৎকৃষ্ট, যার কোন তুলনাই হয় না। সানকুলের পলিমাল্চ ফিল্মগুলির বিশেষ বৈজ্ঞানীক পদ্ধতিতে তৈরী করা হয় যার উপরের দিকটি রুপোলী ও ভেতরের দিকটি কালো বর্ণের। বাইরের দিকের রুপোলী বর্ণ সুর্যের আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে স্ট্রবেরী গাছের সালোকসংশ্লেষের মাত্রা বাড়িয়ে গাছের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ও ফলন অনেক বেশী পাওয়া যায়। আবার কালো রঙের ভেতরের দিকটি মাটিতে সুর্যরশ্মি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় আগাছা একেবারেই জন্মাতে পারে না । তবে পলিমাল্চ বেডের জন্য ড্রিপ সেচ হল সর্বোৎকৃষ্ট। ড্রিপ সেচ না লাগালে ঘন ঘন অল্প পরিমান জল সেচের প্রয়োজন।
চাষ পদ্ধতি – ভাদ্র-মাঘ মাস অবধি বীজ বোনা যায়। বিঘা প্রতি ৮-১০ কেজি (বেঁটে জাত) অথবা ৪-৫ কেজি (লতানে জাত) বীজের প্রয়োজন হয়। বীজ রোয়ার দূরত্ব – ১ ফুট / ৩ ইঞ্চি (বেঁটে); ৩ফুট / ৩ ফুট (লতানে)। প্রাথমিক সার - ২০ কুইন্টাল জৈব / গোবর সার + নিম বা অন্যান্য খোল, ৫ কেজি নিম কোটেড ইউরিয়া, ১০ : ২৬ : ২৬ – ১৫ কেজি, পটাশ – ২৫ কেজি শেষ চাষে। ফুল আসার সময় ৩.৫ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।
সিল্পাউলিনের পলিমাল্চ আগাছা নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে সুসংহত উপায়ে কীট দমনে প্রভুত সাহায্য করে ফলে জৈব উপায়ে ফ্রেঞ্চবিন উৎপাদন করে প্রচুর লাভ করতে পারবেন কৃষকবন্ধুরা।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments