পার্থেনিয়াম একটি ক্ষতিকর আগাছা। এটি পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ রূপে নির্মূল করা প্রয়োজন। ফুল আসার আগে এগুলি কেটে নিয়ে তা থেকে জৈব সার উৎপাদন একটি লাভজনক পদ্ধতি। এতে এই ক্ষতিকর আগাছার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যান্য আগাছা যেগুলি অবাঞ্ছনীয সেগুলিও জৈব সার উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়।
উঁচু জমিতে যেখানে জল জমে না ও জল গড়িয়ে চলে যায় সেখানে একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। যার গভীরতা ৩ ফুট, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট হবে। গর্তের নিচের দেওয়াল প্লাস্টার করে নিলে ভালো হয়। পলিশিটও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জৈব সারের খাদ্য উপাদান মাটি শুসে নিতে পারে না। এর মধ্যে ৪ টি স্তর তৈরি করতে হবে । প্রতি স্তরে ৩৫-৪০ কেজি ঝুরঝুরে মাটি, ৩০- ৪০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ও ৫০-৬০ কেজি আগাছা (অবশ্যই আগাছাতে ফুল আসার আগে কেটে নিয়ে) ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি স্থরে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ইউরিয়া, ৪ কেজি রক ফসফেট ও ৫০ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে দিতে হবে। এর পর গর্তের মুখ গোবর, ধানের তুঁষ,কাঠের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা একটি পুরু স্তর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রায় ৪-৫ মাসে আগাছা থেকে সার তৈরি হয়ে যাবে। এর পর চালনি দিয়ে ছেঁকে বস্তায় ভরে এই জৈব সার বাজার জাত করা যায় । এর মূল্য ভার্মিকম্পোস্টের থেকে কম হয়। ৩-৫ টন প্রতি হেক্টরে ব্যবহার করা যায়।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments