রাসায়নিক ব্যবস্থার বাইরে কীটদমন করতে হলে প্রথমেই রোগ প্রতিরোধী বীজ ব্যবহার করতে হবে, তাছাড়া চারা ও বীজ শোধন করতে হবে ট্রাইকোডারমা ভিরিডি দ্রবণ দিয়ে। শস্যে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। রোগের লক্ষণগুলি দেখতে পেলে নিম্নলিখিত উপায়ে রাসায়নিক ব্যবস্থার বাইরে কীটদমন করতে হবে –
- ডিমের বা শূককীটের গাদা বেছে ফেলা এবং নষ্ট করা। এতে একসঙ্গে অনেক শত্রুকীট নষ্ট হবে।
- শস্য ক্ষেত্রে আল বা মধ্যে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি পতঙ্গভুক পাখি শতাধিক কীট খেয়ে নষ্ট করে। রাতে প্যাঁচা বসে ইঁদুর ধরে খাবে। এতে ফসলে ইঁদুরের উপদ্রব কমবে।
- ফেরোমোন থলি ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ মেরে ফেলতে হবে। পৃথক পৃথক কীটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হরমোন ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে। যেমন – বেগুনের ডাঁটা ও ফলছিদ্রকারী পোকার বিরুদ্ধে লিউসি লিউওর, ধানের মাজরা পোকা দমনের জন্য স্কিরপো লিউওর, পাতা খাওয়া গাছ খাওয়া পোকার জন্য স্পোডো লিউওর ইত্যাদি হরমোন ক্যাপসুল পাওয়া যায়।
- নিমপাতার নির্যাস প্রস্তুত প্রনালী – ১০০ গ্রাম নিমপাতা ১ লটার জলে সারা রাত ভিজিয়ে এমনভাবে থেঁতো করতে হবে যাতে তেল না বের হয়ে আসে। তারপর ২৫ গ্রাম প্রতি ১ লিটার জলে মিশিয়ে ৮-১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে অল্প সাবানগুঁড়ো মিশিয়ে পরিমানমত জলসহ স্প্রে করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শোষকপোকা ও পাতাখেকো পোকার নিয়ন্ত্রণে এই বিষ খুব কার্যকরী।
- নিমের বীজগুঁড়ো খুব ভালো খোল হিসাবে কাজ করে। হেক্টর প্রতি ২টন প্রয়োগ করতে হবে। নিমাটোড ও অন্যান্য মাটিতে বসবাসকারী কীটের প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়।
বাসক, নিম ও ধুতুরা পাতার মিশ্র কীট বিতাড়ক প্রস্তুত প্রনালী –
- বাসক, নিম ও ধুতুরা এই তিনটি পাতার প্রতিটি ১ কিলো করে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন এই পাতা থেতো পরে ৬ লিটার জলে ফোটাতে হবে। দ্রবণ ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে ১ লিটার গোমুত্র দ্রবণের সঙ্গে ৯ লিটার জল মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এমন মাপে মূল দ্রবণ তৈরি করতে হবে যাতে ৫ বার স্প্রে করা যায়।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments