পদ্ধতি মেনে চাষ করলে ভালো লাভ ঘরে তুলতে পারবেন চাষীরা ঝিঙাচাষের মাধ্যমে। বীজ বপনের সময় মাঘ-ফাল্গুন মাস এবং বর্ষাকালীন সময় বৈশাখ, জৈষ্ঠ মাস। ঝিঙার কয়েকটি দেশী জাত যেমন; করোপাতা, সুন্দরী, উলুবেড়িয়া ইত্যাদি। হাইব্রিড – সুরেখা, লতিকা, রোহিনী, সুদর্শন, ঝিঙা চাষে বিঘা প্রতি ৬০০-৭৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন। ঝিঙা লাগানোর পর চারাপাতা হলেই মাচা করে দিতে হবে ও নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। উপযুক্ত দোঁয়াশ মাটিতে ঝিঙার চাষ ভালো হয়, এবং মাটিতে জৈব কার্বনের মাত্রা উচ্চ হওয়া বাঞ্ছনীয়। সারি থেকে সারির সাধারণ দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হবে ও গোবর সার, খোল, সিঙ্গ সুপার ফসফেট প্রভৃতি প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক প্রয়োজনে খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে। ঝিঙ্গায় বাদামী রঙের ছাতা রোগের আক্রমন দেখা যায়, পাতায় হলুদ ছোপ পড়ে ও পাতার নীচের দিক বাদামী হয়ে যায়, তাই ছত্রাকনাশক রাসায়নিক স্প্রে করা প্রয়োজন। ঝিঙা একটি অতি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফসল, তাই ঝিঙার চাহিদাও বেশী। এই চাষ চাষীদের লাভবান করবে এই বর্ষায়।
- Sushmita Kundu
Share your comments