বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত জৈব পদার্থ বা বর্জ পদার্থ গলিকে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণরূপে পঁচানোর পর তৈরি হর কম্পোস্ট বা মিশ্র জৈবসার। এই মিশ্র জৈবসার উদ্ভিদের খাদ্য উপাদানগুলিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। তাছাড়া এতে থাকে উদ্ভিদের জন্য উপকারী নানা মুখ্য ও গৌন খাদ্য উপাদান যা ফসলের উৎপাদন ও গুণমান বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় মিশ্র জৈবসার মাটির উৎপাদনশীলতাকে দীর্ষস্থায়ী করে।
আরও পড়ুন জৈব পদ্ধতিতে ফুল চাষ
মাটিতে মিশ্র জৈবসার প্রয়োগের ফলে নিম্নলিখিত সুফলগুলি পরিলক্ষিত হয় –
১. যেকোন ধরনের মাটির ভৌত অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে মাটিকে নরম, ঝুরঝুরে করে , মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, মাটির বায়ু চলাচলের পরিমাণ বাড়ায় , মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, লবণাক্ততা কমে যায়, মাটির আম্লিক বা ক্ষারিয় প্রভাব কমিয়ে মাটিকে প্রশমিত (ph – ৭.০ এর কাছাকাছি) করে।
২. উদ্ভিদের খাদ্য উপাদান সরবরাহ - মিশ্র জৈবসার মাটিতে দেওয়ার ফলে মুখ্য খাদ্য উপাদানগুলি যেমন নাইট্রোজেন, পটাশ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি মুখ্য উপাদান এবং কতকগুলি গৌন খাদ্য উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে উদ্ভিদের সুসংহত বৃদ্ধি ঘটে।
৩. উদ্ভিদের জৈবিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায় – এর ফলে নাইট্রিফিকেশন ও অ্যামোনিফিকেশনের মত জৈবিক পদ্ধতিগুলি বৃদ্ধি পায়।
৪. উদ্ভিদের হরমোনের বৃদ্ধিসাধন করে: জৈব সার প্রয়োগে গাছের বৃদ্ধি হরমোন যেমন অক্সিন, হেটারোক্সিন ইত্যাদির বেশি উৎপাদনের ফলে গাছের বৃদ্ধি ভলো হয় শস্য উৎপাদন বেশি হয়।
৫. পচনশীল, অব্যবহৃত বা বর্জ্য পদার্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের ফলে দূষণ কমে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে।
৬. ফসলের জলের চাহিদা কমে বা সেচের জল কম পরিমাণে লাগে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments