স্বাদে নতুনত্ব থাকায় ঝিনুক, ছাতু বা অয়েসস্টার মাশরুম চাষ করা যেতে পারে। শুধু স্বাদ নয়, সহজপাচ্য উন্নতমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকায় মাশরুম নিরামিশ খাদ্য। এই মাশরুম খোলামাঠে চাষ করা যায় না। ঘরের মধ্যে চাষ করতে হয়। চাষের উপকরণ তিনটি বড় যে কোনও ধরনের পলিথিনের ব্যাগ, ২ কেজি কুঁচো খড় (১-দেড় ইঞ্চি), এক প্যাকেট বীজ বা স্পন, খড় ভেজানোর জায়গা, পলিথিনের চাদর। ১০-১২ ঘণ্টা কুচনো খড় জলে ভিজিয়ে নিন। পরের দিন সকালে ঝুড়িতে ছেঁকে নিন। এভাবে ২-৩ ঘণ্টা রাখলে বাড়তি জল বেরিয়ে পরে।
পলিথিনের চাদর বা সিমেন্টের মেঝেতে খড় বিছিয়ে দিন। সঙ্গে মাশরুমের বীজ মিশিয়ে দিতে হবে। পলিথিন ব্যাগের তলার দিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিন গায়ে আঙুলের মাথা ঢোকার মতো ১০-১২টি ফুটো করে দিন, এবার ব্যাগের মধ্যে খড় ও বীজের মিশ্রণ চেপে চেপে ভরুন। ব্যাগের মুখটি শক্ত করে বেঁধে দিন। ব্যাগগুলি ঘরের মধ্যে ঠান্ডা জায়গায় ১৫ দিন রাখুন। ১৫ দিন পর কুচনো খড় সাদা মণ্ডে পরিণত হবে। মণ্ডটি ওই ব্যাগের উপর বসিয়ে দিতে হবে। সারাদিন ৪-৬ বার জলের ছিটে দিন। যাতে মণ্ডটি ভিজে থাকে। ৩-৪ দিন পর মণ্ডের গা থেকে মাশরুমের কুড়ি বেরিয়ে আসবে। খোলা থাকা অবস্থায় ৭ দিনের মাথায় মাশরুম তোলা যাবে।
মাশরুম তুলে নিয়ে মণ্ডটি পুনরায় ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে ৭ দিন মুখ বন্ধ অবস্থায় রাখতে হবে। তারপর মণ্ডটি ব্যাগ থেকে বের করে আগের মতো জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখলে পরবর্তী ৭ দিনে দ্বিতীয়বার মাশরুম তোলা যাবে। এভাবে ৩ বার মাশরুম আদায় হবে। তিনবারে ১ থেকে ২ কেজি মাশরুম পাওয়া যাবে। স্থানীয় ব্লক কৃষি দপ্তরের সঙ্গে বীজের ব্যাপারে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
- Sushmita Kundu (sushmita@krishijagran.com)
Share your comments