দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য , লাভজনক গো পোলন করতে , গরুর স্বাস্থ্যরক্ষা , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাদ্যের সাথে সবুজ গোখাদ্যের প্রয়োজন অপরিসীম। সবুজ গো-খাদ্য বা গ্রীন ফডারের কোন বিকল্প হয় না। সুস্বাস্থ বজায় রাখতে, সুন্দর সুস্থ ত্বক, হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি, নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখা, ভিটামিন ও খনিজ লবনের চাহিদা পূরণ, স্বাভাবিক জনন ইন্দ্রিয়ের জন্য, দুধের গড় উৎপাদন বৃদ্ধিতে এর তুলনা হয় না।
পর্যাপ্ত পরিমানে সবুজ গো-খাদ্য খাওয়ালে দানা ভূষির পরিমান কমানো সম্ভব। ফলে উৎপাদন খরচ কম হবে ও লাভজনক গোপালন সম্ভব হবে। বর্তমানে যেভাবে দানাভূষির দাম বাড়ছে, সে তুলনায় দুধের দাম বাড়ছে না, বিশেষ করে গ্রামে যারা গোপালন করেন তার বেশী ভুক্তভোগী।
দুগ্ধবতী গাভীর প্রতিদিন সবুজ গো-খাদ্যের প্রয়োজন । সংকর প্রজাতির অশুটি জাতীয় সবুজ গো-খাদ্য হলে যেমন হাইব্রিড নেপিয়ার, ভুট্টা, প্যারাঘাস, যোযাব বা সরগম ইত্যাদির ক্ষেত্রে কম বেশী ২০ কেজির মত। শুটি জাতীয় হলে যেমন মুগ, গাইমুগ, বরবটী, বাবসীম, লুসান ইত্যাদির ক্ষেত্রে ৬ – ৭ কেজির মত।
শুটি ও অশুটি সবুজ গো-খাদ্য একসাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যায়, এক্ষেত্রে অশুটি জাতীয় ঘাস ২ ভাগ ও শুটি জাতীয় ঘাস ১ ভাগ অর্থাৎ ২ : ১ অনুপাতে। স্থানীয় কিছু ঘাস ওজঙ্গল পাওয়া যায়, যেগুলি গ্রামের গরু মহিষ খেয়ে থাকে। বিশেষ করে ফসলের নিড়ানীর ঘাস, পাটের পাতা, লতাপাতা, কলাপাতা, কলমিগাছ, কচুরীপানা ইত্যাদি। এগুলো খাওয়ানোর আগে দেখে নেওয়া দরকার কোনরকম কীটনাশক ব্যবহার হয়েছে কিনা। এগুলো চাহিদা মত খাওয়ানো যোতো পারে।
রবিউলো হক
প্রশিক্ষক, কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রামকৃষ্ণ আশ্রম, নরেন্দ্রপুর ( ৯৮৩১১১৪৭৮২)
লাভজনক গো-পালনে ‘সবুজ গোখাদ্য – বারসিমের চাষ’ সম্বন্ধে আরো পড়তে চোখ রাখুন আগামী নভেম্বর মাসের কৃষি জাগরণ পত্রিকার বিশেষ ‘মৌমাছি ও পশুপালন’ সংখ্যাটি।
- রুনা নাথ
Share your comments