পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে কুমড়ো জাতীয় সবজি ফাল্গুনের প্রথম বাজারে ভালো দাম দেয়। কিন্তু চাষিরা শীতের মধ্যে মাঠে কুমড়ো জাতীয় সবজির বীজ বুনলে ঠান্ডায় অঙ্কুরোদ্গম হয় না ও ঠান্ডার সময়ে করলা, ঝিঙ্গে, শশা ইত্যাদির চাষও সম্ভবপর হয় না। তবে ছোট পলি গ্লাসে নিচে একটি ফুটো করে এর মধ্যে কেঁচো সার সমেত মাটি মিশ্রণ ভরে প্রতি পলি গ্লাসে একটি করে বীজ চাষিরা লাগাতে পারেন, ভরা শীতের সময় – মানে পৌষের মাঝামাঝি।
এই পলি গ্লাসের সংখ্যা মূলজমিতে যতগুলি মাদা হবে তার থেকে ১০% বেশী করলেই চলবে, অর্থাৎ মাদা পিছু একটি গাছ। আর কিছুটা বেশী ক্ষয়-ক্ষতি ‘মেক আপ’ দিতে। এবার একটি সুবিধাজনক স্থানে যেখানে সবসময় সূর্য্যালোক থাকে সেখানে সামান্য মাটি চেঁছে তুলে পলি গ্লাস গুলি পাশা পাশি বসিয়ে উপরে স্বচ্ছ পলিশীটের (১০০ মাইক্রন) টানেলের মত পরিকাঠামোয় ঢাকা করে দিতে হবে বাঁশের বাতা দিয়ে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পলিশীট চারিদিকে মাটি বা ইঁট চাপা থাকে।
শীতের সময় সকাল থেকে পলিটানেল ঢাকা থাকার পর দুপুর বেলা পলিশীট তুলে জল দেওয়া ও পরিচর্যার কাজ করে আবার রোদ থাকতে টানেল বন্দী করে দিতে হবে। ফলে সূর্য্যালোক টানেল বন্দী পলি গ্লাসের কুমড়ো সবজিকে গরম আবহাওয়ায় বড় চারা করে তুলবে মাস খানেকে। আর মাঘ মাসের মাঝামাঝি থেকে গরম বাড়তে শুরু করলে মূল জমিতে মাদা তৈরি করে পলিটানেলের এক হাত লম্বা চারা একটি করে লাগিয়ে দিলেই কিছুদিনের মধ্যেই মাচায় তোলার উপযুক্ত বা বড় হয়ে ফলন দেবে ফাল্গুনের প্রথমেই। ফলে এই ‘ক্লাইমেট স্মার্ট’ প্রযুক্তিতে স্প্রে বাঁচবে, রাসায়নিক সার বাঁচবে আর চাষি থাকবে লাভের দিকে।
- রুনা নাথ ([email protected])
Share your comments