আমাদের তথা পার্শবর্তী পূর্বভারতের রাজ্যগুলিতে ফসফেট সার বলতেই চাষিরা কেবল ডি.এ.পি কেই বোঝে। সবজি চাষে ও ফল চাষে সারের ক্ষেত্রে ডি.এ.পির অত্যধিক ব্যবহার মাটিকে অনেকটাই অম্লত্বের দিকে নিয়ে গিয়ে ফলনের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। কৃষিবিদরা ফসফেট জনিত সার হিসাবে বরাবরই সিঙ্গল সুপার ফসফেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কারণ এতে সঠিক মাত্রায় ফসফেট জনিত সার ফসলের সুষম আহার যোগায়। আবার ফসফেটের সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান ক্যালসিয়াম মাটির অম্লত্ব কমিয়ে নানা খাদ্য উপাদানকে গাছের উপযোগী করতে সাহায্য করে। আবার আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকে আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সালফার। সুষম খাদ্যের জন্য যা জরুরী (বিশেষত সরষে, পেঁয়াজ, রসুন ও বাকী ফসলেও)।
পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলার মাটিতে অনুখাদ্য জিঙ্কের অভাব পরিলক্ষিত হয়। আর সুষম সার ব্যবস্থাপনায় বোরন হল আরেকটি অতি প্রয়োজনীয় অনুখাদ্য যা ভাল ফলনের পুষ্ট দানা ও চমৎকার উৎপাদনের সহযোগী। সবজি অন্যান্য চাষে মূল সার হিসাবে তাই বিঘাপ্রতি ২কেজি জিঙ্ক ও ১কেজি বোরন নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশের সঙ্গে দেবার সুপারিশ কৃষিবিদরা করে থাকেন। কিন্তু চাষিরা ৯৯শতাংশ ক্ষেত্রেই এভাবে সার দেননা। ফলে এই অনুখাদ্যগুলির অভাব পরবর্তীতে ফলন কমাবার পরিস্থিতি তৈরি করে। চাষিরা তখনই কোন স্প্রের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কিন্তু তাতে মূল সারের মত লাভ হয় না। আবার চাষের খরচ ও শ্রম খরচও বাড়ে। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার সঙ্গে তাই সুষম সার প্রয়োগের লক্ষে খরচ কমাতে বাজারে এসে গেছে জিঙ্ক ও বোরন যুক্ত সিঙ্গল সুপার ফসফেট। খৈতান কেমিক্যাল ও ফার্টিলাইজার লিমিটেড।
একমাত্র এই ফর্টিফায়েড এস.এস.পি সার উৎপাদন ও পরিবেশনা করাতে চাষিদের সার প্রয়োগ হয়ে গেছে অনেক সাশ্রয়কারী আর ফসল উৎপআদন পরিমানে ও গুনমানে উন্নত। খৈতানের জিঙ্ক যুক্ত এস.এস.পিতে ১৬ শতাংশ ফসফরাসের সঙ্গে জিঙ্ক থাকছে ০.৫ শতাংশ আর ক্যালসিয়াম ২০ ও সালফার ১১ শতাংশ। তেমনই বোরন যুক্ত এস.এস.পিতে বাকি খাদ্য উপাদানগুলির সঙ্গে ০.৫ শতাংশ বোরন ফলনের সহায়তায় এক নতুন অঙ্গীকার। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে সবজি ও অন্যান্য চাষে বিঘা প্রতি একবস্তা জিঙ্ক যুক্ত ও বোরন যুক্ত সিঙ্গল সুপার ফসফেট অধিক ফলনের সঙ্গে উন্নত গুণমানে সুষম সারের ভারসাম্যে উন্নত কৃষির এক নতুন দিশা হবে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments