টমাটোর জলদি ধ্বসা – ( কারন – ছত্রাক -অল্টারনেরিয়াসোলানি) – এই রোগটি শীতের শুরু বা শেষের দিকে অল্টারনেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণে হয়। পাতায় ও ডাঁটাতে কালো চিটে দাগ পর পর বৃত্তের মত সাজানো থাকে। পরে এই গোলাকার দাগের মাঝের অংশ মড়মড়ে হয়ে ফুটো হয়ে যায়। কলো দাগের চারপাশে হলুদ হয়ে যায়। ফলেতে আক্রমণে বোঁটার অংশে গাঢ় বাদামী দাগ হয় ও ফলকালো পচা হয়ে খসে পড়ে। শীতের মুখে হালকা বৃষ্টি, আর্দ্রতা ও শিশির ও প্রাদুর্ভাব যুক্ত অঞ্চলে রোগ তাড়াতাড়ি ছড়ায় ও প্রভূত ক্ষতি করে।
প্রতিকার – পরিচ্ছন্ন চাষ ব্যবস্থার সঙ্গে জমি চাষের প্রথমে জৈব সারের সঙ্গে ট্রাইকোডার্মা প্রয়োগ জরুরী। টমাটোর গাছ অবশ্যই স্টেকিং করতে হবে বা ঠেকান দিতে হবে।
আক্রমন চোখে পড়লে আক্রান্ত পাতা ও গাছের নিচের দিকের ভালো পাতাও তুলে বিনষ্ট করার পর বিকালে মেটালাক্সিল + ম্যানকোজেব বা সাইমক্সানিল + ম্যানকোজেব ২গ্রাম / লি. জলে আঠা দিয়ে স্প্রে করুন।
পোকা:
কপির হীরকপিঠ মথ – (প্লুটেল্লা জাইলোস্টেল্লা) শীতকালে কপি চাষে কপির হীরকপিঠ মথ ল্যাদার আক্রমণে আমাদের রাজ্যে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি করে। এই মথ (ছবিতে) কপির পাতায় পাঁশুটে রঙের ডিম পেড়ে দেয় ও ডিম ফুটে ল্যাদা পাতা খেয়ে প্রায় ঝাঁঝরা করে দেয়।
প্রতিকার - পরিচ্ছন্ন চাষের সঙ্গে জমি তৈরির সময়েই নিমখোল/ নিমদানা প্রয়োগ। কপির প্রথম চাপানের পরেই হীরক মথের ফেরোমোন ফাঁদ বিঘায় ৫-৬ টি বসানো। সামান্য আক্রমণ চোখে পড়লেই ফিপ্রোনিল বা ইমামেকটিন বেঞ্জয়েট ১ মিলি প্রতি লিটার জলে আঠা দিয়ে স্প্রে।
তথ্যসূত্র: ড: শুভদীপ নাথ
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments