প্রাইমারিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর এবার এই মামলায় আরও কড়া পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট।
বুধবার ওই মামলার শুনানিতে প্রাইমারি দুর্নীতির তদন্তে এবার একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(সিট) গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি প্রাইমারিতে ২৬৯ জনের নিয়োগ দুর্নীতি ও ‘রঞ্জন সত্য’ মামলার তদন্ত এবার হবে কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে। সিটের ওই টিমে থাকবেন ১০-১২ জন অফিসার। ওই টিমে থাকবেন একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর। তাঁর নাম আগাম ১৭ জুন জানাতে হবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন ওই মামলার শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশ্য়ে বিচারপতি বলেন, নভেম্বরে প্রথম এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিলাম। আদালত চাইছে যারা দুর্নীতির জন্য চাকরি পাননি তারা চাকরি পাক। কিং পিনদের শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে এ জিনিস থামবে না। এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি। পদক্ষেপ নিন। বাগ কমিটির রিপোর্ট আপনাদের হাতে রয়েছে। তার পরেও কিছুই করেননি। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মনে রাখবেন আরও একটা সারদা চাই না।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের আগেই গুলিতে মারা গেলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শিনজো আবে
এদিকে, আজ শুনানিতে উঠে আসে ‘রঞ্জন সত্য’ প্রসঙ্গ। প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত। মামলায় পার্টি করা হয় প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসকে। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। রঞ্জন সত্য নামে সেই পোস্টে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। রঞ্জন একটি কাল্পনিক নাম। আসল নাম চন্দন মন্ডল। উপেন বিশ্বাসের অভিযোগ, এই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দিয়েছেন প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে। প্রাইমারির ক্ষেত্রে রফা হয় ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকায়। আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে সেটা ১৫ লাখ থেকে ১৮ লাখ, কখনও ২০ লাখ টাকায়। আর নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে সেই টাকার অঙ্কটাই ২৫ লাখ।
আরও পড়ুনঃ জলের শহর মুম্বাই! গাড়ি নয় রাস্তায় চলছে নৌকা
ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয় যে, রঞ্জন এতটাই সত্য যে, যে টাকা দিতে পেরেছে, তাকে তিনি চাকরি দিয়েছেন। আর চাকরি দিতে না পারলে, টাকা ফেরত দিয়েছেন। একটাই নির্দেশ ছিল যে, সাদা খাতায় শুধু রোল নম্বর লিখে জমা দিতে হবে। কিছু লিখলে আর চাকরি পাওয়া যাবে না। এই বিষয়টিই সামনে তুলে আনেন মামলাকারীরা। ৮৬ জনের ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে সরব হন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ বুধবার আদালতে জমা দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এরপরই প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এবার ওই ‘রঞ্জন সত্য’ মামলারও তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে।
সুত্র-লাইমলাইট নিউজ
Share your comments