রাজস্থানের বেয়ারফুট কলেজের অনেক নিরক্ষর, অদক্ষ মহিলা রয়েছেন যারা এইখানকার আশেপাশের গ্রামগুলিতে থাকেন, যারা নিজেদের ‘সৌর মাতা’ বলে দাবী করছেন এবং সোলার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য নিজেদের শিক্ষিত করে তুলতে চাইছেন। এইসব সৌর মাতারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টায় তাদের প্রথম প্রকল্প ‘বিন্দি সোলার’ চালু করেছেন, যারা এই বিশ্বে প্রথম ঘরোয়া সৌর আলো সম্পর্কীত বিভিন্ন বিষয়বস্তুসমূহ উৎপাদন করছেন। এনারা সৌর প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদন, সরবরাহ, বিক্রয়, স্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি করে আসছেন।
‘বিন্দি সোলার’ আসলে একটি স্বপ্লমূল্যের সৌর ব্যবস্থা যেমন ক্ষুদ্র লন্ঠন, মাইক্রোগ্রিড, ডিসি টিভি, এবং পাখা এমনকি টর্চ ইত্যাদি সমস্ত সরবরাহ করে চলেছে, এবং এই যন্ত্রসমূহ তারা রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামে সরবরাহ করে থাকে যেখানে এখনো সঠিকভাবে বিদ্যুৎ পৌছায় নি। বেয়ারফুট কলেজের সি.ই.ও মিঃ মিগান ফ্যালন্ বলেছেন যে ‘বিন্দি সোলার’ এমন একটি সংস্থা যারা ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রাকৃতিক শক্তিকে ব্যবহারের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে।
ভারতের ১৩টি রাজ্যে, বিন্দি সোলার তাদের উৎপাদিত সৌর যন্ত্রসমূহ সরবরাহ করবে বেয়ারফুট কলেজের অংশীদার ফ্রন্টিয়ার মারকেটস্ এবং জি.এইচ.ই সোলার এবং বেয়ারফুটের সৌর মাতাদের সাহায্যে। তাদের নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হবে সি.এস.আর ও অ্যাপেলের সহযোগিতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংস্থার মাধ্যমে। এই সংস্থার সহযোগিতায় অন্যান্য সহযোগিরা হল গোল্ডম্যান স্যাসে দ্য ফিলিপিস ফাউন্ডেশন, দ্য ফ্রে চ্যরিটিবেল ফাউন্ডেশন এবং এরোল ফাউন্ডেশন।
বেয়ারফুট কলেজ প্রমাণ করতে পেরেছে যে মহিলাদের মনোবল, যোগ্যতা ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে গেলে তাদের প্রযুক্তিতে পারদর্শী করে তুলতে হবে। তিনটি প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদান মানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটায় এবং তাদের সমিতির মানুষের কাছে তাকে নেতৃত্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করে। এই পণ্য উন্নীতকরন এবং সরবরাহ উদ্যোগ যা মানুষকে শক্তিশালী করে যা সারা ভারতের গ্রাম্যজীবন ও জীবিকাকে উজ্জীবিত করতে সক্ষম। সারা বিশ্ব ১৭ টি প্রাথমিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নততর পৃথিবী পেতে পারি, যার মধ্যে অবশ্যই নিহিত থাকবে দারিদ্র দূরীকরণ, মহিলাদের স্বনির্ভরকরণ, সৃজনশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রবহমানতা, ও নবীকরনযোগ্য সম্পদের ব্যবহার প্রসার।
বেয়ারফুট কলেজের বোর্ড সদস্য মিঃ স্যাম্ পিত্রোদা বলেছেন, “আমরা খুবই গর্ব বোধ করছি যে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এন জি ও-কে সাথে করে আমরা একটি প্রবহমান জীবন ও জীবিকার পথকে উন্মুক্ত করতে পেরেছি যা আমাদের আগামীদিনের কাজকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করতে পারবে”।
- প্রদীপ পাল
Share your comments