কৃষকদের চাষের সময় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হ'ল ট্রাক্টরে ব্যয়। বর্তমানে ডিজেলের দামও আকাশ ছোঁয়া। এমন পরিস্থিতিতে ডিজেলে ব্যয় নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। কারণ মাঠে কাজ করার সময় ট্রাক্টরে প্রচুর পরিমাণে ডিজেল প্রয়োজন হয়, যার কারণে কৃষকদের ব্যয় অনেক বেড়ে যায় এবং সঞ্চয়ও খুব কম হয়। তবে এবার কৃষকরা ডিজেল ছাড়াই ট্রাক্টর চালাতে পারবেন। শীঘ্রই দেশের কৃষকরা ই-ট্রাক্টর ক্রয় করতে পারবেন। ই-ট্রাক্টরগুলির অপারেটিং ব্যয় (বৈদ্যুতিক ট্র্যাক্টর) এক ঘন্টায় প্রায় ২৫-৩০ টাকা। অপরদিকে ডিজেল ট্রাক্টরগুলির অপারেটিং ব্যয় এক ঘন্টার জন্য প্রায় দেড়শ টাকা। এতে কৃষকদের প্রায় ১২০ টাকা সাশ্রয় হবে।
হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক সংস্থা সেলেস্টিয়াল ই-মোবিলিটি একটি বৈদ্যুতিক চালিত ট্র্যাক্টর উন্মোচন করেছে। ট্রাক্টরটিতে ব্যাটারি চেঞ্জ, রিজেনারেটিভ ব্রেকিং ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। লক্ষণীয় বিষয়, ট্রাক্টরটি শূন্য নির্গমন অনুসারে ডিজাইন করা হয়েছে, যা পরিবেশ বান্ধব।
সেলেস্টিয়াল ই-মোবিলিটি ট্রাক্টরের মূল্য
দেশে বৈদ্যুতিক ট্র্যাক্টরের দাম পড়বে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। অন্যান্য ট্র্যাক্টরের দাম প্রায় ছয় লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। বৈদ্যুতিন ট্রাক্টরগুলির দরুন কৃষকদের ট্রাক্টরগুলির জন্য অপারেটিং ব্যয় প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা হবে। প্রচলিত ডিজেল চালিত ট্রাক্টরের তুলনায় ই-ট্রাক্টরের ক্রয় মূল্য এবং অপারেটিভ মূল্য দুইই কম।
ই-ট্রাক্টরের বিশেষত্ব
ই-ট্রাক্টরের বিশেষত্ব হল, এতে একদিকে কৃষকদের সময় সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ও ন্যূনতম হবে। ই-ট্রাক্টরে ব্যাটারি চেঞ্জ, রিজেনারেটিভ ব্রেকিং, পাওয়ার ইনভার্সন (ট্রাক্টর চার্জিং ইউপিএস) এবং দ্রুত চার্জিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যও থাকবে। ৬ এইচপি বৈদ্যুতিন ট্র্যাক্টর একক চার্জে ৭৫ কিমি অবধি চলতে পারে।
এটি প্রতি ঘন্টা ২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। একটি আবাসিক পরিবেশে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টরের ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ করতে ৬ ঘন্টা সময় লাগে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাওয়ার সকেটে ব্যাটারিটি ২ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত চার্জ করা যায়।
স্বপ্নম সেন ([email protected])
Share your comments