নতুন বছরের শ্রম সংস্কারের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ নজীর গড়তে চলেছে কেন্দ্র। আর মাত্র হাতে গোনা কটা দিন তারপরই নতুন করে সকলে নতুন বছরের পদার্পণ করব। আসন্ন নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা এবং শ্রম সংস্কারের উপর বিশেষ নজর দেবে কেন্দ্র। প্রত্যেকটি রাজ্যকে শ্রমবিধি সংশোধনের জন্য ডাক দেবে কেন্দ্র। ভারতীয় শ্রমিক সংগঠন গুলিকে মজবুত করতেই এই নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র।
সরকার আগেই ডাক দিয়েছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের, তাঁরা এদেশে এসে কারখানা গড়ে তোলে বিভিন্ন পন্যের রপ্তানির লেনদেন করে। তাই এই বিষয়টিকে আগে থেকে মজবুত করতেই শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে স্থির সরকার। একারনে PLI প্রকল্পের সূচনা, অ্যাপল, স্যামসাং সমেত একাধিক বিদেশি সংস্থাকে এ দেশে কারখানা খোলায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আশ্বাস মিললেও মেলেনি টাকা! ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের কাছে বিপুল বকেয়া রাজ্যের
নতুন বছরে ভারত প্রথমবারের মতো G-20 নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। তার আগে ভাগে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে চায় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থানমন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে আমাদের প্রচেষ্টা হবে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় বিপুল সংখ্যক অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের নিয়ে আসা। এবং তাদের অনলাইনের মাধ্যমে যোগ্য সুবিধা প্রদান করা। আমরা মন্ত্রকের সমস্ত প্রক্রিয়াগুলি কাগজবিহীন করতে চাই,"।
আরও পড়ুনঃ এই তারিখে PM KISAN অ্যাকাউন্টে ১৩ তম কিস্তি আসবে, আপনার নাম আছে তো?
ইতিমধ্যে সংসদে চারটি প্রধান শ্রম বিধি পাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই বিধি তখনই কার্যকর হবে, যখন কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি সংশ্লিষ্ট নিয়ম নিয়ে নির্দেশিকা জারি করবে। চার প্রধান শ্রম বিধি কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। চারটি শ্রমবিধি হল সামাজিক সুরক্ষা, বেতন, শিল্প সম্পর্ক এবং কাজের জায়গায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুরক্ষা ও উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা।
Share your comments