ফসলের ফলনে সেচের একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিতে যদি শস্যক্ষেতে সেচ ব্যবহার করা হয় তবে কৃষকরা একদিকে যেমন জল বাঁচাতে পারবেন, তেমনই ফসলের ফলনও হবে ভালো। এটি কৃষির ব্যয়ও হ্রাস করে, ফলে কৃষকদের ভাল আয় হয়, কৃষক ফসল উত্পাদনে সমৃদ্ধ হন। কৃষিতে উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি বিশেষজ্ঞরা উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি জেলার কৃষকদের প্রধানমন্ত্রীর কৃষি সেচ প্রকল্প সহ উন্নত কৃষিকাজ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম জলে ফসল ভালভাবে সেচ দেওয়া যায়। এ জন্য কৃষকরা স্প্রিংকলার পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়া কৃষকরা স্প্রিংকলার পাইপ কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকিও পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি -
এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ কৃষকদের ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়, অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে কৃষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নিবন্ধিত ফার্ম থেকে স্প্রিংকলার পাইপ কেনার পরে কৃষকদের আবেদন পত্রের সাথে বিল অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনটি অনুমোদিত হলে কৃষকদের ব্যয়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।
স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি -
এই পদ্ধতির সাহায্যে আপনি জমি সমতল না করেও জমিতে ভালভাবে সেচ দিতে পারেন। ঢালু এবং উঁচু-নিচু স্থানে সেচ দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থাটি অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। রসুন, আদা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, মটর, পেঁয়াজ, ব্রোকলি, স্ট্রবেরি, চিনাবাদাম, সরিষা, শাক, শাকসবজি, মুসুর ডাল, চা ইত্যাদি ফসল এবং নার্সারিতে এই পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া যায়। এর ফলস্বরূপ ভাল ফসল উত্পাদন হয়।
Image source - Google
Related link - PM KISAN - পিএম কিষাণের কিস্তি পাননি? সপ্তম কিস্তি পেতে আবেদন করুন এই পদ্ধতিতে
(Advantages & Disadvantages of 3G Cutting) ‘৩ জি’ কাটিং-এর সুবিধা ও অসুবিধা
Share your comments