কৃষিজাগরন ডেস্ক : কৃষিকাজকে আরও উন্নত করার জন্য মৃত্তিকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।কৃষকদের যেন কোনও রকমে অসুবিধার সস্মুখীন হতে না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের প্রকল্প চালু করতে চলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাটির পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে।এতে কৃষকরা সহজেই তাদের জমির মাটি পরিক্ষা করতে পারবেন। ফলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন । এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৯৯ টি স্থায়ী, ১১৩ টি মোবাইল, ৮,৮১১টি মিনি এবং ২,৩৯৫ টি গ্রাম পর্যায়ে মাটি পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।"
কেন্দ্রীয় কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, গোটা দেশে ২২ কোটিরও বেশি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড কৃষকদের মধ্যে দুটি ধাপে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে এমন সময় ছিল যখন এরকম সুবিধা পাওয়া যেতো না । কিন্তু আজ এই প্রকল্প থাকার কারণে কৃষকরা সকল রকমে সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন । তিনি বলেন, "রাসায়নিক চাষের কারণে চাষে ফলন বেড়ে চলেছে এরই পাশাপাশি এখন পরিস্থিতি বদলাছে । জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মাটির স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আরও পরুন : পরিবেশ রক্ষায় এই তিনটি গাছের চাষ করুন, হবেন কোটিপতি
মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে কি কি পরিষেবা দেওয়া হবে
১. মাটির স্বাস্থ্য
২. মাটির কার্যকরী বৈশিষ্ট্য
৩. মাটিতে উপস্থিত জল উপাদান এবং পুষ্টি.
৪. মাটির অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য.
৫. মাটির ত্রুটিগুলি উন্নত করার জন্য ব্যবস্থা।
আরও পরুন : এই কাজটি না হলে আসবে না আবাস প্লাসের টাকা! রাজ্যকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড অধিনে কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে চলেছে কৃষকরা তা হল -
কৃষকদের মাটির ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে তারপর সেই অনুযায়ী ফসল রোপণ করতে পারবেন ।
৩ বছরে একবার মাটি পর্যবেক্ষণের জন্য কৃষকদের কাছে কর্তৃপক্ষদের রিপোর্ট দেওয়া হবে। এর ফলে কৃষকরা চাষের বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না, যদি মাটির কারণে পরিবর্তিত হয় তবে। কৃষকদের ফসলে উন্নত করার জন্য ও পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও দ্বারা দেওয়া হয়।
ভারত সরকার 19 ফেব্রুয়ারী, 2015 তারিখে ভারত সরকার 19 ফেব্রুয়ারী, 2015 তারিখে চালু করেন । এতে কৃষকদের মধ্যে ২২ কোটিরও বেশি মাটির স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়ে গেছে ।
কেন্দ্রীয় কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি প্রাকৃতিক চাষের জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে । গত এক বছরে ১৭টি রাজ্যে ৪.৭৮ লক্ষ হেক্টর জমি চাষের। আওতায় নেওয়াও হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার ₹১,৫৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পৃথক প্রকল্প হিসাবে প্রাকৃতিক কৃষি সম্পর্কিত জাতীয় মিশনকে অনুমোদন দিয়েছে।
Share your comments