কৃষিক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের জন্য সর্বদাই চেষ্টারত কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষিতে কৃষকদের স্বনির্ভর করতেই সরকারের আনছে বিভিন্ন স্কিম এবং পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য, কৃষকদের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের হার বাড়ানো সঙ্গে কৃষিজ পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি।
নাগরিকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও জীবিকা প্রদানের জন্য প্রয়োজন সরকারী প্রকল্প। যাতে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয়। তাছাড়া জিডিপি-র একটা বড় অংশ আসে কৃষি খাত থেকেই। করোনা মহামারীর সময়ে যখন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তখন কিন্তু কৃষি খাতে ৩.৪ শতাংশ হারে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। তাই কৃষিখাতে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেকারনেই গত কয়েক বছরে কৃষি খাতে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে সরকার। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের ৬ টি প্রকল্প সম্পর্কে জেনে নিন।
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা:
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিষাণ যোজনার ১২ তম কিস্তি রিলিজ করেছেন। সেই অনুযায়ী কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১২ তম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অধীনে কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই টাকা প্রত্যেক চার মাস অন্তর দুই হাজার টাকা করে ডিবিটির মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শস্য বিমা প্রকল্পঃ
কৃষকদের স্থিতিশীল আয়ের লক্ষ্যেই এই প্রকল্প আনা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকদের আর চিন্তা করতে হবে না। কারন এই বিমার মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা:
প্রত্যেক কৃষকের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই যোজনার মূল লক্ষ্য হল- প্রতি ফোঁটায় বেশি ফসল। জলের উৎস সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনার সমাধান।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিকাশ যোজনা:
জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস করার বার্তা প্রচার করা এই যোজনার লক্ষ্য। এই যোজনার মিশন হল- কৃষকদের নিয়ে দল গঠন করা। পাঁচ লাখ একর কৃষি জমি জৈব চাষের আওতায় আনা। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা প্রত্যেক কৃষককে একর প্রতি ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
গ্রামীণ ভান্ডারান যোজনা:
গ্রামীণ এলাকায় আধুনিক স্টোরেজ তৈরি করাই এই যোজনার মূল লক্ষ্য। আগামী দিনে যাতে কৃষক খুব ভাবে ফলস উৎপাদন করতে পারে। এবং ফসল স্টোরেজ করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের হিমঘর বা স্টোরেজে ফসল রাখতে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মান ধন যোজনাঃ
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পেনসেন দেওয়া হয়। ৬০ বছরের বেশি বয়সী কৃষকদের মাসিক আয়ের বন্দোবস্ত করা। তাদের নুন্যতম মাসিক ৩০০০ টাকা প্রদান করা। এই প্রকল্প কৃষির কল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
Share your comments