হিং ভারতীয় খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা। খাবারের স্বাদ বাড়াতে হিং একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হিং এর তীব্র ও তিক্ত গন্ধ খাবারের সুগন্ধ ও স্বাদ বাড়ায়। হিং শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী ।
হিং মূলত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। হিং পেটের জন্য অমৃত হিসাবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসায়ও হিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। হিং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও গলার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। শুধু তাই নয়, হিঙ্গা মহিলাদের মধ্যে হজম বিরোধী এবং ঋতুস্রাব বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এর চিকিৎসার জন্যও হিঙ্গা ব্যবহার করা যেতে পারে। বন্ধুরা, আপনি হয়ত অনেকবার খাবারে হিং খেয়েছেন, কিন্তু আপনি কি কখনো দুধে হিং খেয়েছেন?
উত্তোলনের জন্য অমৃত
দুধ ও হিং খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে ঘন ঘন কাশি হলে দুধে হিং মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুধ ও হিং খাওয়া যেতে পারে। এটি আপনার মল আলগা করতে পারে। এটি মল পাস করা সহজ করে তোলে। এছাড়াও, এটি ফোলাভাব কমাতে কার্যকর।
আরও পড়ুনঃ রহস্যময়ী লজ্জাবতী গাছের অবাক করা এই গুনগুলি জানেন?
হজম উন্নতি
আয়ুর্বেদ দাবি করে যে হিং এবং দুধ খাওয়া মানুষের হজমশক্তি উন্নত করে। বন্ধুরা, প্রতিদিন রাতে হালকা গরম দুধে ১ চিমটি হিং মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন হিং মিশিয়ে দুধ খেলে দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে মেরামত করে। যদি কোনও ব্যক্তি গ্যাস বা অ্যাসিডিটিতে ভোগেন তবে এই মিশ্রণটি দিনে দুবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কানের ব্যাথা চলে যায়
দুধ এবং হিং এর মিশ্রণও কানের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এ জন্য ছাগলের দুধে সামান্য হিং মিশিয়ে দুই কানে কয়েক ফোঁটা দুধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই দুধ কানে দিলে সকালে তুলোর সাহায্যে কান পরিষ্কার করুন। এটি কানের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া সংক্রমণের মতো সমস্যাও দূর করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ব্লাড সুগার সারাতে ঢেঁড়স জলের উপকারিতা
Share your comments