নিম একটি ঔষধি গাছ। এর ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই নিম গাছ পাওয়া যায়। এই গাছ প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় নেয় ১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভালো হয়।
নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনও ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এ কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও তৈরি করা হচ্ছে আজকাল। এ ছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য নিমকাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। নিমের এই গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুনঃ এই ঔষধি গাছগুলো চাষ করে আয় হবে দ্বিগুণ
ত্বকের জন্য নিমের রসের উপকারিতা:
প্রচণ্ড গরমে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন র্যাস, অ্যালার্জি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি জলের মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে নিমেষেই সব উধাও হয়ে যাবে। এই রস তেতো হলেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বক সতেজ করার জন্যও ভালো ।
মাড়ির সমস্যায় নিমের রস খুবই ভালো। আসলে নিমের রস পান করলে মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা কমে যায়। বহু শতাব্দী ধরে আমাদের দেশে দাঁত পরিষ্কারের জন্য বে ব্যবহার হয়ে আসছে । এটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বিকাশের ঝুঁকি হ্রাস করে। একইভাবে আপনি যদি মাউথওয়াশ হিসাবে নিমের রস ব্যবহার করেন তবে এটি আপনার মাড়ির সমস্যা দূর করতে খুব কার্যকর হতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করতে নিমের রস পান করার অভ্যাস করুন। ত্বক স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল হয় কারণ এটি শরীরের ময়লা দূর করে।
আরও পড়ুনঃ রোজ খাচ্ছেন তরমুজ? এগুলি জানেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
নিমের রস ওজন কমাতে খুবই উপকারী। আসলে এর ব্যবহার হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। একইভাবে, আপনার শরীর দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়। এটি আপনার ওজন খুব দ্রুত কমাবে।
তথ্যসুত্র-ভিকাসপিডিয়া
Share your comments