প্রতিদিনকার রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা না হলেও কিছু বিশেষ খাবারে কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। শুধু কেক, ফিরনি, পোলাও, সেমাই তৈরিতে নয়,আপনি এটি নিয়মিত খেতে পারেন। কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক মুঠো কিশমিশ। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারীতা নিয়ে আজকের এই ফিচার।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা খিদে পেলেই মুঠো মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক দিনে কতটা কিশমিশ খাচ্ছেন, সে বিষয় সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে তাঁরা, যাঁরা নিজেদের ওজন কমাতে চাইছেন। এক দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিশমিশ খেতে পারেন। অতিরিক্ত কিশমিশ আবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ তিল খাওয়ার উপকারিতা, রক্তচাপ থেকে সুগার সবই থাকবে নিয়ন্ত্রণে
জেনে নিন কী ধরনের উপকার হয়?
-
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।
-
কিশমিশ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, এমন রোগীকে রোজ কিশমিশ খেতে বলা হয়। তবে অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কমে যেতে পারে রক্তচাপ। যা উল্টে চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
-
যদি শীতকালে শুষ্ক এবং ফাটা চুলের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। এগুলি আয়রনের একটি পাওয়ার হাউস এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা খনিজ দ্রুত শোষণে সহায়তা করে এবং চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে।
-
কিশমিশে নানা প্রকার ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। যা ত্বকের জন্য খুবই ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে গেলে আবার অ্যালার্জির আশঙ্কাও থাকে। তার জেরে গলা ব্যথা, কাশি বা ত্বকে র্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়।
-
এ ছাড়া কিশমিশে প্রচুর মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে তা হতেই পারে আপনার ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।
-
রক্তে অমেধ্য বা অপরিষ্কার রক্তের ফলে শুষ্ক ত্বক এবং ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন কালো কিশমিশ খেলে রক্ত থেকে টক্সিন, বর্জ্য পদার্থ এবং অন্যান্য ময়লা দূর হয়। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃস্ট্রবেরির স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে টিপস দিলেন ফিটনেস ফ্রিক শিল্পা
Share your comments