শীতের মরশুমে অনেকেরই ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি ও কাশির মত একাধিক উপসর্গ লেগেই থাকে। তাই আমরা যদি ডায়েট নিয়ে একটু সচেতন হই তাহলে অনেকটাই কমে যাবে এই উপসর্গ গুলি। তাই ডায়েটে এমন কিছু মশলা রাখুন যেগুলি আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারি মশলার তালিকা থেকে আজ একটি মশলা নিয়ে আলোচনা করবো, যার নাম হলুদ। প্রথমেই বলে রাখি হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হলুদে কী রয়েছেঃ
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা একাই একশোর বেশি রোগ সারাতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুন। জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলার ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে হলুদ। শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলিকে বের করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ China Coronavirus: করোনা থেকে বাঁচতে চিনাদের নতুন হাতিয়ার পাতিলেবু
হলুদ কী ভাবে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করবেনঃ
হলুদ চাঃ শীতে সর্দি, কাশি, গলার ব্যাথা দূর করতে হলুদ চায়ের ভূমিকা অনবদ্য। জলে শুধুমাত্র কয়েক টুকরো কাঁচা হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কাপে নিয়ে পান করুন।
হলুদ দুধঃ হলুদ-দুধ মস্তিষ্কের উন্নতি করে মেজাজ ভালো রাখতেও অনেক উপকারী। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে। সেক্ষেত্রে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে হলুদ গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান। তারপর পান করুন দেখবেন হলুদ দুধ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
হলুদ তেলঃ
শীতে বেশিরভাগ মানুষই খুসকির সমস্যায় ভোগে। হলুদ কিন্তু খুশকি সারাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে একটি বাটিতে পরিমাণ মত অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল মেশান। দুটি তেল ভালো ভাবে মিক্স করে নিয়ে কিছুটা হলুদ মেশান। হলুদ ভালো করে মিক্স করে নিয়ে চুলে লাগান দেখবেন অনেকটাই কমে যাবে খুসকি। এছাড়াও হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে। হজমের সমস্যা দূর করে শরীর সুস্থ রাখে হলুদ।
বিঃদ্র-খুব নিয়ন্ত্রিত পরিমানে হলুদ খাওয়া ও ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে এটিকে এড়ানো উচিত। এই প্রতিবেদনটি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি করা। তাই এটি খয়াওা ও ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Share your comments