দেশজুড়ে শীতের দুরন্ত ব্যাটিং শুরু। নামছে পারদ। উত্তরি হাওয়ায় কাবু গোটা দেশ। সব মিলিয়ে বেশ ভালই শীত উপভোগ করছে গোটা দেশ। আর শীত মানেই নানা রকম ফল, ফুল এবং শাকসবজির সমাহার। সকলের খাবারের থালা ভরে ওঠে বিভিন্ন শাক সবজি দিয়ে। পাশাপাশি প্রকৃতিও সেজে ওঠে নানান রঙ্গিন ফুলের বাহারে। ফুলের টানে গাছে গাছে ভিড় জমায় মৌমাছি আর বিভিন্ন পোকামাকড়। এই সময় অনেকেই নিজের বাড়ির ছাদে বা বাড়ির ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন ফুল এবং সবজির বাগান করতে ইচ্ছুক হন। আর এই সময় ফুল এবং ফল অথবা সবজির ফলন অনেক ভালো হয় কারণ সূর্য, মাটি, জল এই তিনটির ভারসাম্য খুব ভালো হয় এই সময়। তবে ছাদে নিজের সাধের বাগান তৈরির জন্য রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি করবেন আর কি কি করবেন না।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন ঔষধি গাছের গুরুত্ব
শীতকালে ফলনের ক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হয়। তবে সেটি শাকসবজি অথবা ফলের ক্ষেত্রে। ফুল গাছে সেই ভাবে সার প্রয়োগ করার দরকার পড়ে না। তবে সার প্রয়োগ করার সময় এবং পরিমাণ এই দুটির ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। গাছ লাগানোর ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় সার দিন। আর তারপর ফুল বা ফল ফলনের আগে আরও একবার সার প্রয়োগ করুন। শীতকালে গাছের অপর ছত্রাকের আক্রমন খুব বেশি হয়। তাই গাছকে বিভিন্ন ছত্রাক এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক যেমন সাইপারমেথরিন, ম্যানকোজেব ও মালাথিওন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ভারতে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টর, ইঙ্গিত দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী
শীতকালে কুয়াশা হয়। আর কুয়াশা মাটির আদ্রতা বার করে দেয়। তাই এই সময় গাছের তলা খড় বা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখুন। পাশাপাশি এই সময় সূর্যের তাপমাত্রা কম হয় ফলে গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই রাতের বেলা গরম লাইটের ব্যবহার করতে পারেন। গাছের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য মাসে অন্তত দু বার কীটনাশক সার স্প্রে করুন। গাছের গোঁড়ায় এবং গাছের পাতাতে এই কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। গাছের পুষ্টির জন্য জৈব বা কেঁচো সার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এগুলিতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকে। এই ধরনের সার প্রয়োগ করলে ভালো মানের এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলন হয়।
এই সময় দিনে দুবার অর্থাৎ সকালে এবং বিকেলে একবার করে জল দিলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি গাছে কোনও পোকার আক্রমন হলে তুলে ফেলুন। কারণ এই পোকা আশেপাশের গাছের ক্ষতি করে। পাশাপাশি যদি গাছে কোনও অংশে পচন দেখা দেয় তাহলে সেই অংশ কেটে ফেলুন অথবা গাছ তুলে ফেলুন।
Share your comments