জানুন বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বীট (Beetroot) এর উপকারীতা

(Beetroot) প্রাচীন সময় থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট খেতেন। এর নানাবিধ কারণও আছে। ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়াম-সহ নানা পরিপোষক পদার্থে ভরপুর হল বিট।

KJ Staff
KJ Staff
Benefits of Beetroot
Beetroot (Image Credit - Google)

প্রাচীন সময় থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট খেতেন। এর নানাবিধ কারণও আছে। ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়াম-সহ নানা পরিপোষক পদার্থে ভরপুর হল বিট।

ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো নানা অসুখ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী সবজি হল বিট। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে গেলে মাত্র একটি। তা হল বিট খেলে প্রসাবের রং লাল হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

জেনে নিন বিটের ১২টি গুণাগুণ (Know the 12 benefits of bit) -

১. রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে:

বিটে রয়েছে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস। মুখে থাকা ব্যক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।

২. লিভার ডিটক্সিফাই করে:

ফাস্টফুড, স্পাইসিতে অভ্যস্ত জীবনে এমনিতেই লিভারের অবস্থা সঙ্গিন। বিটের জুসে থাকা বেটাইন নামে এক উপাদান কিন্তু লিভার ফাংশান ভালো করে। লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

৩. ঋতুচক্রের সমস্যা দূর করে:

সময়ের আগেই মেনোপজের লক্ষণ দেখা দিলে বা ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বিটের জুস খান। বিটে থাকা আয়রণ নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। যার ফলে ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৪. ক্যানসারের চিকিত্‍‌সায়:

বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-টিউমার গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়। নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।

৫. রক্তচাপ কমায়:

যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, দিনে অন্তত দু-গ্লাস বিটের জুস খান। বিটে থাকা উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

বিট হল হাই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও কাজে দেয়। 

৭. কোষ্ঠকাঠিন্যেও বিট:

যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, উচিত বেশি করে বিটের জুস খাওয়া। বিপাকের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।

৮. রক্তাল্পতা ও আয়রন ঘাটতিতে:

বিটে প্রচুর আয়রন থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকার জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান। যে কারণে রক্তাল্পতায় যাঁরা ভুগছেন, বা যাঁদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, এই শীতে বেশি করে বিট খাওয়া উচিত।

৯. পেশিশক্তি বাড়ায়:

মাসল ফোলাতে রোজ জিমে যাচ্ছেন? তা ভালো, সঙ্গে নিয়ম করে বিটের জুস খান। তার কারণ বিট পেশিশক্তি বাড়ায়।

১০. ত্বকে জেল্লা আনে:

বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং ফর্মুলা। ফলে, ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে নিয়ম করে এই শীতে বিট জুস খান। ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও দূর করে। জেল্লাও আসে।

১১. ডিপ্রেশন দূর করতে জুড়ি নেই:

কোনও কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছেন? বিষণ্ণতা আপনাকে গ্রাস করছে? এই শীতে বিট জুসই হতে পারে সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ। বিটে ট্রিপ্টোফান ও বিটেইন নামে যে উপাদান থাকে, তা ডিপ্রেশন কাটাতে ভালো কাজ দেয়।

১২. জন্মগত ত্রুটি দূর করে:

বিট রুটের মধ্যে রয়েছে ফোলেট ও ফলিক অ্যাসিড। যার কাজ হল জন্মগত ত্রুতি দূর করা। যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বিট জুস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

আরও পড়ুন - গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা রয়েছে? অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খেজুর রাখুন রোজ সকালে খাবার পাতে (Health Benefits Of Dates)

Published On: 01 January 2021, 10:54 PM English Summary: Learn the benefits of beetroot in curing various diseases

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters