শীতের মরশুম মানেই নতুন গুড়ের গন্ধে মাখামাখি একটা সময়। গুড় যে শুধু সুস্বাদু এমনটা নয়, গুড়ের আছে নানা স্বাস্থ্যকর গুন। গুড় সাধারণত খেজুর গাছের রসব এবং আখ মাড়াইকৃত রস থেকেপ্রস্তুত করা হয়। গুড় সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে, ঝোলাগুড়, পাটালিগুড়, চিটাগুড়। শীতের সময় পিঠাপুলি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নলেন গুড় বা খেজুরের গুড়। গুড়ের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুর গুড়ে থাকে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৮৫.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ২.৫ গ্রাম আঁশ। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, আয়রন, জিংক ও ক্লোরাইডও সামান্য পরিমানে পাওয়া যায়।
আজ আমরা এক নজরে দেখে নেবো গুড়ের উপকারিতাঃ
গুড় লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
গুড় আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
গুড় নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গুড়ে পর্যাপ্ত আয়রন আছে। এটি রক্তস্বল্পতা রোধে সাহায্য করে।
চুলের ভালো রাখে, সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতর থেকে উজ্বলতা বাড়ায়।
দেশের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গুড়।
গুড় রক্ত পরিশোধন করতে সক্ষম।
গুড় নিয়মিত খেলে স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটে।
গুড় দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।
শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বেড় করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ সব জটিল রোগকে ১০ হাত দূরে রাখবে গ্রাম বাংলার এই পাতা
শীতের মরশুমে বাজারে গুড় কিনতে গেলে একাধিক গুড় দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় অনেকেই। যে কোন গুড়টা কিনলে ভালো হবে। তাই গুড় কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনুন।
জেনে নিন ভালো গুড় চেনার সহজ উপায়ঃ
শুদ্ধ ভাল গুড় গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। হলদেটে গুড় দেখলেই বুঝবেন নিশ্চয় কিছু রাসায়নিক মেশানো আছে। মনে রাখবেন গুড় যত শক্ত হবে ততই ভাল। কারন শক্ত গুড়ে অন্যান্য সামগ্রী মেশানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কম। বাজারে গিয়ে গুড় কেনার সময় একটু মুখে নিয়ে দেখবেন। যদি নুনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে বুঝে নেবন, গুড়ে কিছু মেশানো রয়েছে। কারন গুড় সর্বদাই মিষ্টি হয়।
Share your comments