প্রাচীনকালে মানুষ শারিরীক রোগ নিরাময়ের জন্য ভেষজ গাছের উপর নির্ভর করত। সে সময় ডাক্তারদের পরিবর্তে ঋষিরা ছিলেন, যারা এই ভেষজ থেকে রস বের করে মানুষের রোগ নিরাময় করতেন।
আজকাল আধুনিক যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষ অনেক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ ব্যবহার করে। কিন্তু বর্তমানেও আয়ুর্বেদিক ভেষজের ব্যবহার কমছে না, বরং এসব ভেষজ গাছের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। এই ভেষজগুলির মধ্যে রয়েছে নিম, তুলসী ইত্যাদি।
আয়ুর্বেদিক ভেষজের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
নিম, তুলসী ও ঔষধি গাছ। এমন একটি জুস যা আপনি সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন উপায়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন. আপনি তাদের রস তৈরি করতে তাজা পাতা বা শুকনো পাতার গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে বানাবেন নিম, তুলসীর রস
নিম, তুলসী ও রসের জন্য প্রথমে এদের পাতা ভালো করে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর পাতাগুলো ব্লেন্ডারে রেখে এক কাপ পানি দিন। আপনার যদি ব্লেন্ডার না থাকে তবে এই পাতাগুলি একটি পাত্রে রেখে ভাল করে পিষে নিন। আপনি একটি মসৃণ সামঞ্জস্য না পাওয়া পর্যন্ত উপাদানগুলি মিশ্রিত করুন। সবশেষে একটি মসলিন কাপড় ব্যবহার করে মিশ্রণটি বের করে নিন। এখন এই রস খাওয়া যেতে পারে।
নিমের রসের উপকারিতা
-
নিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
-
নিম হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে।
-
সাধারণ সর্দি, জ্বরের জন্যও নিম পাতা এবং নিমের রস ব্যবহার করা হয়।
-
ক্যানসারের মতো মারণ রোগ সারাতে এখনও ব্যবহার করা হয়।
-
নিম শরীরে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এটি শরীরের রক্ত পরিশোধন করতেও ব্যবহৃত হয়।
তুলসীর রসের উপকারিতা
-
কিডনিতে পাথর রোগীদের জন্য তুলসী খুবই ভালো।
-
তুলসী বহুদিন ধরেই এর প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।
-
সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্ট কমায় ।
-
তুলসী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
-
প্রতিদিন তুলসী পাতা বা তুলসি চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
Share your comments