প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানুষের অভ্যাসগত দিকে আসছে হাজারো পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে তাঁর রুচি, অভ্যাস, মানসিকতা। তবে সবটাই যে খারাপ তা নয়। এর মধ্যে ভালো জিনিসও রয়েছে। কথায় আছে খারাপ জিনিস মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। বিশেষত সেটি যদি হয় নেশা বা কোনও কিছুর ওপর আসক্তি।
আসক্তি কথাটা যখন এল তখন বর্তমান প্রজন্মের আসক্তি গুলোতে আসা যাক। বর্তমান প্রজন্ম এখন ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত। হ্যাঁ আসক্তি এই কারণেই বলা কারণ বর্তমানে ইন্টারনেট, গেমস, সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার কেও শুরু করলে সেখানেই ডুবে যেতে শুরু করে। আস্তে আস্তে সেটি আসক্তিতেই পরিণত হয়। গবেষণা বলছে এই আসক্তি বিভিন্ন নেশাদ্রব্য গুলির থেকেও বেশি ভয়ংকর। মস্তিষ্কে থাকে ডোপামিন। যেটি আমাদের আনন্দ, খুশি এগুলি অনুভূত করায়। কিন্তু এই ইন্টারনেট আসক্তি সেই ডোপামিন গ্রাহকগুলির ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুনঃ দিনে কটা রুটি খান? শরীরে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
গবেষণা বলছে এই ধরণের আসক্তির সবচেয়ে বেশি পড়ছে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের ওপর। পড়াশোনা, গেমস, খেলা, পরীক্ষা সবকিছুই এখন ইন্টারনেটের অধীনে। ইন্টারনেটের জালে প্রবেশ করা মাত্রই এক বিশাল সমুদ্রে গিয়ে পড়ে কমবয়সী ছেলে মেয়েরা। এত কিছু পেয়ে প্রলোভন সামলাতে পারেনা তরুনরা। আর এইভাবেই আস্তে আস্তে মস্তিষ্কে জাল বিস্তার করে ইন্টারনেট।
আরও পড়ুনঃ নাক ডাকাকে অবহেলা করবেন না
বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাত্রার অভ্যাস বদলেছে। তাঁদের মুখে শুধু এই তুই ফেসবুকে আছিস? হোয়াটস নম্বর টা কত, ইন্সটাগ্রামে আইডি কি এই বাক্য। বিকেল হলে খেলতে যাওয়া, মাঠে গিয়ে ধুলো বালি মাখা, বৃষ্টিতে ভেজা সেসব এখন ইতিহাস। যত দিন যাচ্ছে সকলের ছেলেবেলা গ্রাস করে নিচ্ছে এই ইন্টারনেট। আসলে প্রযুক্তি আশীর্বাদের সঙ্গে অভিশাপ এনেছে বরাবরই। আর তারই ফল ইন্টারনেট ডিজঅর্ডার।
সকলের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এই ডিজঅর্ডার থেকে মুক্তির উপাই কি? সত্যি বলতে এই অসুখের কোনও সঠিক প্রতিকার নেই। রুমঝুম ভট্টাচার্য, (মনোবিদ) বিকাস পিডিয়ায় একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন বর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া অসম্ভব। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে যাতে ব্যবহিত হয় সেদিকে সচেতন হতে হবে।
তিনি জানান, কগনিটিভ বিহেভিয়ার থিয়োরির ব্যবহার করে ইন্টারনেট আসক্তি কমানো যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে শেখান হয় কীভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে হবে। মা বাবাকে অনেক সচেতন হতে হবে। শিশুকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি ছোট থেকে শেখান। ব্যবহারে কীভাবে সিমিত আনা যায় সেই বিষয়েও ভাবতে হবে। এইভাবেই পাওয়া যাচ্ছে অনেক সুফল।
NEWS SOURCE- বিকাস পিডিয়া
Share your comments