খাবারের স্বাদ যেন বদলিয়ে দেয় সামান্য ধনে পাতা। আমিষ থেকে নিরামিষ সব রান্নাতেই ধনে পাতা একটা আলাদা স্বাদ নিয়ে আসে। মূলত শীতকালীন এই সবজি বাড়ির মধ্যে অল্প বিস্তর জায়গা থাকলেই চাষ করা যায়। বাড়ির চিলেকোঠায় বা ছাদে অথবা বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে এই ধনে পাতা চাষ করা যায়। সালাদ বানাতে ধনে পাতা অন্যতম সবজি হিসাবে বিবেচিত হয়। অত্যন্ত সহজ উপায়ে এই চাষ করা যায়। বিনিয়োগ এই চাষে সামান্য বলে, এই চাষ করে চাষিরাও ভালো লাভবান হন। মোটামুটি শীতকাল জুড়ে ধনে পাতার চাহিদা বাজারে থাকে।
ধনে পাতার বড়া অথবা ধনে পাতার চাটনি বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয়। পুষ্টিগুণের দিক থেকে দেখলে ধনেপাতা স্বাস্থ্যসম্মতও বটে। এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ক্যারোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। বহু সৌখিন মানুষ বাড়িতেও ধনে পাতার চাষ করেন। বাড়ির টবে ধনেপাতার চাষ করার সুবিধা হচ্ছে, মৌসুমে কয়েকবার খেয়ে আবার চাষ করা যায়। আশ্বিন থেকে পৌষ অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ধনেপাতা চাষের উপযুক্ত সময়।
বীজ বপন (Seed Sowing)
ধনে পাতার বীজ ২৪ ঘন্টা ন্যাকড়ায় জড়িয়ে ভিজিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি গজাবে। ধনে পাতার জন্য চওড়া মুখ বিশিষ্ট টব নির্বাচন করতে হবে। ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ বুনে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে সেচ দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে জল দেওয়ার দরকার নেই।
পরিচর্যা (Caring)
মাটিতে রস না থাকলে ২/১ দিন পর পর জল সেচ দিতে হবে। পাখি যাতে পাতা না খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বীজ বোনার পর পিঁপড়ে যাতে খেয়ে ফেলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পিঁপড়ে লাগলে পাইরিফস বা পাইরিবান অথবা সেভিন ডাস্ট ছিটিয়ে পিঁপড়ে দমন করতে হবে।
আরও পড়ুন: Farming Process of Cinnamon: শিখে নিন টবে দারুচিনির চাষের কৌশল
পাতা তোলা (Harvest)
গাছ খুব ঘন হলে তা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। গাছ বেশি বড় হওয়ার আগে তুলে খেতে হবে।
ধনে পাতা গাছের পরিচর্যা (Caring)
ধনে গাছে লাগানোর পর মাটিতে রস না থাকলে ২/১ দিন পর পর জল সেচ দিতে হবে। এছাড়া পাখি যাতে পাতা না খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বীজ বোনার পর পিঁপড়া বীজ খেয়ে ফেলে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যাতে পিঁপড়ে বীজ না খেয়ে ফেল। অথবা পাইরিফস বা পাইরিবান অথবা সেভিন ডাস্ট ছিটিয়ে পিঁপড়ে দমন করতে হবে।
আরও পড়ুন: Easiest way of Potato Cultivation: আলু চাষের সহজতম পদ্ধতি শিখে হয়ে উঠুন লাভবান