রজনীগন্ধা (টিউবরোজ) কন্দযুক্ত আলংকারিক ফুল। সংখ্যাগরিষ্ঠ পুষ্প উৎপাদকরা রজনীগন্ধার চাষ করে উন্নমিত হয়েছেন। তবে বর্তমানে, এই রাজ্যে রজনীগন্ধা চাষে কন্দক্ষেত্রে সমস্যা এবং কৃষকদের বেশ কয়েকটি সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রধান সমস্যাগুলির মধ্যে, কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুতর বিষয়।
রোগ সংক্রমণ (sub heading) -১) পাতার দাগ (লিফ স্পট) – পাতায় বিভিন্ন কালো দাগ দেখা যায়। এই রোগের প্রতিকারের জন্যে ডিফেনকোনাজল (স্কোর ০.১% / ডিথেন এম – ৪৫, ২ গ্রাম / লি) জলে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।২) পাতার ঝলসা রোগ – গ্রীষ্মকালে প্রখর তাপে অনেক সময় পাতা জ্বলে যায়। এর প্রতিকার করতে হলে ডিফেনকোনাজল (স্কোর ০.১%) প্রয়োগ করতে হবে। এতে যদি সমাধান না হয়, তবে প্রয়োজনে কিউনিটাল (আইপ্রোডিন + কার্বেনডাজিম ০.২%) প্রয়োগ করতে হবে।৩) মূল পচা: এই রোগে গাছের শিকড় এবং শীর্ষভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রতিকার – এর প্রতিকারের জন্যে নিমকেক + ট্রাইকোডার্মা হার্জিয়ানাম ৫০০ গ্রাম / বর্গমিটার + মেটালক্সিল + মানকোজেব ০.২% মাটিতে নিষিক্ত করতে হবে।
কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা (sub heading) - ১) থ্রিপস : এই রোগে পাতাগুলি সাদা হয়ে যায়। ফিপ্রোনিল (রিজেন্ট ১.৫ মিলি / লি), ইমিডাক্লোপ্রিড (কনফিডার ০.৫ মিলি / লি), ডিমেথয়েট (রজার ২ মিলি / লি) দিয়ে এর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।২) কুঁড়ি নাশক কীট : ফুলের কুঁড়িতে সংক্রমণ শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ফুলের সম্পূর্ণ অংশ গ্রাস করে। এর প্রতিকারের জন্যে কার্টাপ হাইড্রোক্লোরাইড (কিটাপ ১ গ্রাম / লি), অ্যাবামেকটিন (ভার্টিমেক ০.৪ মিলি / লি), এসিফেট (এসিফেট ১.৫ গ্রাম/ লি) প্রয়োগ করতে হবে।৩) নেমোটোডস: এর আক্রমণে উদ্ভিদটি খর্বাকৃতি হয়ে যায়, এর সতেজ বর্ণ ফিকে হতে হতে শেষ পর্যন্ত বিলীন হয়ে যায় এবং ফুল প্রস্ফুটিত হয় না। প্রতিকারের জন্য রোপণের সময় প্রতি হেক্টরে ৩০০ কেজি নিম কেক প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া এর সাথে আভ্যন্তরীণ অংশে কার্বোফিউরন বা ফোরেট ২.৫-৩.০ কেজি / হেক্টর (৬৬ কেজি ফিউরাডন, ৩ % গ্রানুলস / হেক্টর) এবং মেরি গোল্ড প্রয়োগ করতে হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
তথ্যসূত্র - ড. তাপস কুমার চৌধুরী
Share your comments