জুলাই মাসে চাষের জন্য কৃষকেরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া (Farming in July) শুরু করে দিতে পারেন৷ সঠিক সময়ে চাষের কাজ শুরু করে দিতে পারলে উৎপাদনও ভালো হবে৷ বর্ষায় বাজারে সবজির চাহিদা অনুযায়ী চাষ করলে তা আপনার জন্য লাভজনক (Profitable Vegetables) হতে পারে৷ যদি আপনি সবজি চাষ করবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন তাহলে সঠিক সবজি নির্বাচন করে তার চাষের প্রস্তুতি শুরু করে দিন৷ জুলাইয়ে কোন কোন সবজির চাষ আপনি করতে পারেন এই প্রতিবেদনে তারই উল্লেখ করা হল৷
ঢ্যাঁড়শ (Okra)- যে কোনও মাটিতেই ঢ্যাঁড়শ বা ভেন্ডির চাষ করা যেতে পারে৷ মূলত শুষ্ক-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঢ্যাঁড়শ চাষ ভালো হয়৷ তবে এখন সারা বছরই মোটামুটি এটি চাষ করা যায়৷ তবে মাথায় রাখতে হবে ঢ্যাঁড়শ গাছে মোজাইক রোগের প্রকোপ সবথেকে বেশি দেখা যায়৷ এই রোগে গাছের পাতা হলুদ হয়ে কুঁকড়ে যায়৷ এই অবস্থায় আক্রান্ত গাছকে দ্রুত সেখানে থেকে তুলে এনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে তা না হলে অন্যান্য গাছেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
উন্নতমানের ঢ্যাঁড়শ- হিসার উন্নত, ভ আর ও-৬, পুসা এ-৪, পরভনী ক্রান্তি, পঞ্জাব ৭, অর্কা অনামিকা, বর্ষা উপহার, অর্কা অভয়, হিসার নবীন, এইচ বি এইচ৷
পেঁয়াজ (Onion)- প্রায় ১৪০-১৪৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ চাষে সময় লাগলেও এটি মূলত শীতের সময়ে চাষ করা হয়৷ তবে খারিফ মরসুমেও এর চাষ হয়৷ উন্নত মানের জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত বেলে-দো-আঁশ মাটিতে এর চাষ এসময় ভালো হয়৷ এ পিএইচ মান ৬-৭.৫ -এর মাঝে হলে তা পেঁয়াজ চাষের জন্য উত্তম বলে ধরা হয়৷ খারিফ মরসুমে এক হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রায় ১০-১৫ কিলো বীজের নার্সারি করতে হবে৷
উন্নতমানের পেঁয়াজ- এগ্রিফাউন্ড লাইট রেড, এন-৫৩, এগ্রিফাউন্ড ডার্করেড, ভীমা সুদর, রেড (এল-৬৫২), অর্কা কল্যাণ, অর্কা প্রগতি৷
করলা (Bitter Gourd)- করলা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে৷ এর জন্য বাজারে এর চাহিদাও অনেক৷ এই করলা চাষ করেই কৃষকেরা প্রচুর উপার্জন করতে পারেন৷ সমগ্র ভারতে যে কোনও মাটিতে এর চাষ সম্ভব৷ এর ভালো বৃদ্ধি এবং উৎপাদনের জন্য ভালো জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং দোআঁশ মাটি হলে ভালো হয়৷
উন্নতমানের করলা বীজ- পুসা হাইব্রিড ১,২, পুসা বিশেষ, কল্যাণপুর, প্রিয়া কো-১, এস ডি ইউ- ১, কোয়েম্বাটুর লং, কল্যাণপুর সোনা, বারোমাসি করলা, পঞ্জাব করোলা-১, পঞ্জাব-১৪, সোলন, বারোমাসি প্রভৃতি৷
লাউ (Bottle Gourd)- এর মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ লবণ, ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান৷ শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার, তাই এর গুনাগুনের জন্য এর চাহিদাও প্রচুর৷ পাহাড়ি এলাকা থেকে সমতল এলাকা সর্বত্র এর কদর পরিলক্ষিত হয়৷ এর বীজ বপনের আগে ২৪ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়৷ এর ফলে অঙ্কুরোদ্গম প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়৷ এরপরে বীজ বপন করা হয়৷
উন্নতমানের লাউ বীজ- পুসা সন্তুষ্টি, পুসা সন্দেশ (গোল), পুসা সমৃদ্ধি এবং পুসা হাইব্রিড ৩. নরেন্দ্র রশ্মি, নরেন্দ্র শিশির, নরেন্দ্র ধারীদার, কাশী গঙ্গা,কাশী বাহার৷
আরও পড়ুন- বর্ষায় স্বল্প ব্যয়েই চাষ করুন অড়হর (Pigeon Pea Farming), হবে প্রচুর মুনাফা
Share your comments