শসা, সারা বছরই পাওয়া যায় এবং এই শসা আমাদের শরীরের জন্যও খুবই উপকারী৷ শসার চাষ বাড়ির ছাদেই সম্ভব৷ খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হয় না৷ কীভাবে সহজে শসা চাষ করা যায় তা জানবো, তবে তার আগে চোখ রাখা যাক শসার উপকারিতায়৷
শসার বিজ্ঞানসম্মত নাম- Cucumis sativus. এটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। বাইরে সবুজ এবং ভিতরে হালকা সবুজ রঙের হয়৷ এর ভিতরে প্রচুর বীজ থাকে৷ স্যালাডে এটি খুবই ব্যবহৃত হয়। সবজি হিসেবে অনেকে রান্নাও করেন৷ এছাড়া ত্বকের পরিচর্যায় এর রস ব্যবহার করা হয়৷ এটি গরম কালে বেশি পাওয়া গেলেও, বছরের অন্যান্য সময়েও এটি পাওয়া যায়৷
শসায় রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, সোডিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা, আঁশ, ফাইবার, প্রোটিন, শর্করা, চিনি, জল, স্নেহ পদার্থ প্রভৃতি৷ আর এইসব উপাদান শসাতে বিদ্যমান থাকায় শরীরকে বহু সমস্যার হাত থেকে এটি রক্ষা করে৷ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, হাড় মজবুত করতে, হজমশক্তি বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷
প্রধানত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে শসা চাষের সময় হলেও, তবে সারা বছরই এর উৎপাদন সম্ভব৷ মূলত দোআঁশ মাটি শসা চাষের জন্য খুবই উপযোগী৷ নার্সারি থেকে উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ করে তা একদিন জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে৷ তারপর তা টবের মাটিতে রোপনের উপযুক্ত হবে৷ মাঝারি সাইজের একটি টবে বীজ বপন করলে তার সংখ্যা ৫-৬টি এবং চারা হলে ২-৩টি রোপন করা যেতে পারে৷
দোআঁশ মাটির সঙ্গে ইউরিয়া, কম্পোস্ট, জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে৷ মাটি ঝুরঝুরে হলে এতে চারা রোপন করতে হবে৷ এরপর প্রতিদিন পরিমিত জল দিতে থাকতে হবে৷ কারণ শসা গাছের জন্য জল, আলো-বাতাসের ভালো প্রয়োজন রয়েছে৷ টবের মাটি যেন চেপে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, মাঝে মাঝে মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে৷ সেই সঙ্গে শসা গাছ যাতে ঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে তাই কিছুদিন পর মাচা তৈরি করে দিলে ভালো৷ আগাছা হতে দেওয়া যাবে না৷
শসা গাছে জাব পোকা আক্রমণ করতে পারে৷ নিমবীজের দ্রবণ বা সাবানগোলা জল স্প্রে করা যেতে পারে৷ তিন থেকে চার মাস পরে শসা সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি
Share your comments