অত্যন্ত প্রাচীন এক গাছের মূল নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা। জিনসেং গাছ। বর্তমানে বহু ভেষজ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই গাছের মূল। আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরিতেও এই গাছের মূল্য অপরিসীম। মূলত কোরিয়া, জাপান, চিন, ভিয়েতনাম, সাইবেরিয়ায় এই গাছ জন্মায়। ভারতে জিনসেংয়ের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয় হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, উত্তরাখন্ড এবং মহারাষ্ট্রে।
জিনসেং গাছের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য : জিনসেং গাছ ২০-৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে। আবহাওয়ার ওপরে এই গাছের বৃদ্ধি নির্ভর করে। জিনসেং গাছের মূল প্রধানত স্বাস্থ্যপুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এই মূল মাটির তলায় খুব ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে।
জিনসেং ভেষজ উদ্ভিদের স্বাস্থ্যকর দিক (Health benefit of Ginseng)
১) এনার্জি বাড়াতে এই গাছ ভীষণ ভাবে সাহায্য করে
২)স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, স্নায়ুদৌর্বল্য কমায়
৩) নেশার কুপ্রভাব কাটাতেও সাহায্য করে এই জিনসেং
৪) মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবেটিস কমাতেও এই জিনসেংয়ের জুড়ি মেলা ভার
৫) জিনসেং দেহের ওজন কমাতেও সাহায্য করে
৬) ক্যান্সার প্রতিরোধেও জিনসেং গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়
৭) মাথার চুল পড়া কমাতেও জিনসেং কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
সেচ- (Irrigration)
সেচের কাজে পরিমিত মাত্রায় জল প্রয়োগ করতে হবে। অতিরিক্ত জলে চাষের ক্ষতি হতে পারে। বর্ষাকাল আলাদা করে কোনোরকম সেচ দিতে হবে না।
আগাছা নিয়ন্ত্রন- (Weed Management)
নিয়ম মেনে প্রাত্যহিক ভাবে ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। নিড়ানির মাধ্যমে আগাছা পরিষ্কার এই ক্ষেতের পক্ষে উপযুক্ত।
রোগবালাই ও কীটের প্রতিকার: (pest and Disease Control)
এই পদ্ধতির চাষেও বিভিন্ন কিত্-পতঙ্গ ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হয়। স্ট্রিম ব্লাইট, রুট রট-এর মতন পোকারা এই চাষের ক্ষতি করতে পারে। জৈব ও রাসায়নিক দুই উপায়েই এই কীটগুলিকে নাশ করা যেতে পারে।
গিনসেং যখন বেড়ে ওঠে তখন বিভিন্ন রোগবালাইয়েরও আক্রমণ ঘটে। রাসটি রুট, পাইথিয়ামের মতন বিভিন্ন রজার আক্রমণ এই চাষের সময় লক্ষ্য করা যায়। রাসায়নিক এবং জৈব পদ্ধতিতে এই রোগবালাই দমন করা যায়।
ফসল তোলা - (Harvesting)
চাষ করার তিন মাসের মাথায় এই গাছের মূল তুলতে হবে। খুব সাবধানে এই মূল যত্ন সহকারে তুলতে হবে।
জিনসেং রোদ একদম সহ্য করতে পারে না, তাই শুকনো, ঠান্ডা পরিবেশে জিনসেং স্টোর করতে হবে।
আরও পড়ুন: Drum Seeder - ধান চাষে বীজ বপনের এই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে পাবেন ধানের বাম্পার ফলন
Share your comments