বীজতলার উপর প্লাস্টিক-আচ্ছাদনের (পলি টানেলের) ব্যবস্থা করে চারা তৈরি করতে হবে। উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থাযুক্ত উঁচু জমিতে ৬-৮ ইঞ্চি গভীর করে কুপিয়ে বীজতলা করতে হবে। পচা শুকনো গোবরসার বা কেঁচোসার প্রতি বর্গমিটারে ৩-৪ কেজির সঙ্গে জৈব-ছত্রাকনাশক ট্রাইকোডার্মা হার্জিয়ানাম ও সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ২ গ্রাম করে মিশিয়ে দিন। একবিঘার বীজতলার জন্য ১৫ মিটার লম্বা ১ মিটার চওড়া বীজতলা যথেষ্ট। বিঘাপ্রতি এগ্রিফাউন্ড ডার্করেড বর্ষার পেঁয়াজ চাষে ৭০০-৭৫০ গ্রাম বীজই যথেষ্ট। শোধন করা বীজ না পেলে প্রতি কেজি বীজের হিসাবে ২-৩ গ্রাম থাইরাম/ক্যাপটান/কার্বেন্ডাজিম মাখিয়ে বুনুন। বীজতলায় বীজ ছিটিয়ে না বুনে ৩-৪ ইঞ্চি দূরত্বে লাইন করে বুনলে বীজ সাশ্রয়ের সঙ্গে আগামীতে চারার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। বীজবোনার পর বীজতলা ট্রাইকোডার্মা মেশানো শুকনো গোবর/কেঁচোসার দিয়ে হালকা করে ঢেকে তার উপর শুকনো খড়ের আস্তরণ দিয়ে দিন। যদি উই বা পিঁপড়ের উপদ্রব থাকে তবে ক্লোরপাইরিফস্ ২০ ই.সি. ২ মিলি/লি. জলে হালকা করে খড়-মাটি আস্তরণ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। বর্ষার পেঁয়াজ বীজতলায় অন্য সবজি ফসলের মতই বাঁশের বাখারি দিয়ে উপরে পলিথিনের শীট দিয়ে ঢেকে দিন। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, চাষিরা কমদামী যে পলিশীট ব্যবহার করেন ও বীজতলা খুব আঁটোসাটো করে ঢেকে দেন, তা না করে একটু মোটা পলিশীট অল্প বেশী খরচে কিনুন ও বাঁশের বাখারি চওড়া করে দুপাশে হাওয়া চলাচলের জায়গা রাখুন। এতে চারার বৃদ্ধি হবে সুন্দর ও ড্যাম্পিং অফের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বীজ ফুটতে শুরু করলে খড়ের আচ্ছাদন সরিয়ে বৃষ্টির গতি-প্রকৃতি বুঝে পলিশীট সরিয়ে রোদ-হাওয়া খাওয়ান। দিন ১০-১৫ ও মাসখানেকে মিশ্র-ছত্রাকনাশক কার্বেন্ডাজিম+ম্যানকোজেব ১ গ্রাম/লি. হিসাবে স্প্রে করে রাখুন। খরিফে ৪০-৪৫ দিনের চারা রোয়ার উপযোগী হয়। কম বয়সের চারা মাটিতে ভালভাবে দাঁড়ায় না, আবার বেশী বয়সের চারাতে ফলন মার খায়।
খরিফ পেঁয়াজ চাষের বীজতলা ও চারা তৈরি
বীজতলার উপর প্লাস্টিক-আচ্ছাদনের (পলি টানেলের) ব্যবস্থা করে চারা তৈরি করতে হবে। উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থাযুক্ত উঁচু জমিতে ৬-৮ ইঞ্চি গভীর করে কুপিয়ে বীজতলা করতে হবে। পচা শুকনো গোবরসার বা কেঁচোসার প্রতি বর্গমিটারে ৩-৪ কেজির সঙ্গে জৈব-ছত্রাকনাশক ট্রাইকোডার্মা হার্জিয়ানাম ও সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ২ গ্রাম করে মিশিয়ে দিন। একবিঘার বীজতলার জন্য ১৫ মিটার লম্বা ১ মিটার চওড়া বীজতলা যথেষ্ট। বিঘাপ্রতি এগ্রিফাউন্ড ডার্করেড বর্ষার পেঁয়াজ চাষে ৭০০-৭৫০ গ্রাম বীজই যথেষ্ট। শোধন করা বীজ না পেলে প্রতি কেজি বীজের হিসাবে ২-৩ গ্রাম থাইরাম/ক্যাপটান/কার্বেন্ডাজিম মাখিয়ে বুনুন। বীজতলায় বীজ ছিটিয়ে না বুনে ৩-৪ ইঞ্চি দূরত্বে লাইন করে বুনলে বীজ সাশ্রয়ের সঙ্গে আগামীতে চারার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। বীজবোনার পর বীজতলা ট্রাইকোডার্মা মেশানো শুকনো গোবর/কেঁচোসার দিয়ে হালকা করে ঢেকে তার উপর শুকনো খড়ের আস্তরণ দিয়ে দিন। যদি উই বা পিঁপড়ের উপদ্রব থাকে তবে ক্লোরপাইরিফস্ ২০ ই.সি.
Share your comments