ভারতে যে প্রজাতির আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। আম ভারতের জাতীয় ফল হিসাবে পরিচিত।ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদ-এ প্রচুর পরিমাণে আম চাষ হয়ে থাকে।
আমের বিভিন্ন জাত আছে,যেমন-
ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি।
একসময় দেশে আমের মৌসুম মে মাসে শুরু হয়ে শেষ হতো জুনে। কিন্তু এখন দেশে নতুন জাতের আম চাষ হওয়ায় আমের মৌসুমের মেয়াদও বাড়ছে। নিচে কিছু আম এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আমের প্রকারভেদ (জাত) সম্পাদনা:
১.হিমসাগর । বাজারে এই আমের প্রাধান্য বেশি। ক্ষীরশাপাতি নামেও পরিচিত এই নাম।
২.চোষা। এই আমও অত্যন্ত জনপ্রিয়।চোষা। এই আমও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৩.বউ সোহাগী। এই আম আকারে ছোট।বউ
৪.সোহাগী। এই আম আকারে ছোট।
৫.ল্যাংড়া। বাজারে এই আম একটু দেরিতে আসে।
৬.নাগ ফজলি। চাহিদার তুলনায় এই আমের উৎপাদন কম।নাগ ফজলি। চাহিদার তুলনায় এই আমের উৎপাদন কম।
৭.আলতাপেটি। এর বাইরে সবুজ ভেতরটা উজ্জ্বল কমলা রঙের।আলতাপেটি। এর বাইরে সবুজ ভেতরটা উজ্জ্বল কমলা রঙের।
৮.বউ পছন্দ। এই আম আকারে একটু ছোট।বউ পছন্দ। এই আম আকারে একটু ছোট।
৯.হাঁড়িভাঙা। এই আমেরও কদর আছে।
১০.দুধ সর। নামটি অপরিচিত, কিন্তু খেতে সুস্বাদু।
১১.আম্রপালিও খুব জনপ্রিয় আম।আম্রপালিও খুব জনপ্রিয় আম।
১২.লক্ষ্মণভোগ। মন কাড়তে এই আমের রংই যেন যথেষ্ট।লক্ষ্মণভোগ। মন কাড়তে এই আমের রংই যেন যথেষ্ট।
১৩.মাহালিশা। কলার মতো দেখতে তাই এই আমের অন্য নাম ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।মাহালিশা। কলার মতো দেখতে তাই এই আমের অন্য নাম ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।
১৪.মল্লিকা। এই আমের রং লোভনীয়।মল্লিকা। এই আমের রং লোভনীয়।
১৫.বোম্বাই হিমসাগর। এই আম গোলাকার।বোম্বাই হিমসাগর। এই আম গোলাকার।
আমের নাম পরিপক্বতার সময়:
গোবিন্দভোগ : ২৫শে মের পর থেকে
গোলাপখাস : ৩০শে মের পর থেকে
গোপালভোগ : ১লা জুনের পর থেকে
রানিপছন্দ : ৫ই জুনের পর থেকে
হিমসাগর বা ক্ষীরশাপা: ১২ই জুনের পর থেকে
ল্যাংড়া : ১৫ই জুনের পর থেকে
লক্ষ্মণভোগ : ২০শে জুনের পর থেকে
হাড়িভাঙ্গা : ২০শে জুনের পর থেকে
আম্রপালি : ১লা জুলাই থেকে থেকে
মল্লিকা : ১লা জুলাই থেকে থেকে
ফজলি : ৭ জুলাই থেকে থেকে
আশ্বিনা : ২৫শে জুলাই থেকে
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
স্বাদে, পুষ্টিতে ও গন্ধে আম অতুলনীয়। তাই আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আমে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’, খনিজ পদার্থ ও ক্যালরি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ এর দিক থেকে আমের স্থান পৃথিবীর প্রায় সব ফলেরই উপরে।
আরও পড়ুন - এই মরসুমে জৈব পদ্ধতিতে ফুল চাষ করে আয় করুন অতিরিক্ত অর্থ (Organic Way Flower Cultivation)
Share your comments