এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 5 August, 2020 5:10 PM IST
Onion cultivation

বাঙালী তথা ভারতবাসীর খাদ্যতালিকায় এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান হল পেঁয়াজ। প্রধানত মশলাপাতি ও সবজি হিসাবে এর ব্যবহার হয়। কন্দ ছাড়াও পেঁয়াজের পাতা ও কলি উপাদেয় খাদ্য। সরাসরি সবজি, সালাদ, মশলা, আচার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। উত্তরোত্তর এর বৈদেশিক এবং আভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ার জন্য চাষীবন্ধুদের এই চাষের আগ্রহ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের বৈচিত্র্যপূর্ণ জলবায়ু এবং মাটিতে এই চাষ এখন ক্রমশ বাড়ছে এবং রবি মরশুমের সাথে সাথে কিছু এলাকায় খারিফ মরশুমেও এর চাষ হচ্ছে। উন্নত জাত এবং সঠিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে খারিফ মরশুমেও একক এলাকা থেকে অধিক ফলন এবং আয় করা সম্ভব।

মাটি ও জলবায়ু –

উর্বর, জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত গভীর, ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দোআঁশ বা পলি মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযুক্ত। অধিক অম্ল বা ক্ষার মাটিতে পেঁয়াজের আকার ছোট হয় ও পুষ্ট হতে বেশী সময় লাগে। জল জমে থাকে এমন মাটিতে এই চাষ ভালো হয় না। ১৩ – ২৪ C তাপমাত্রায় এই চাষ ভালো হয়।

জাত নির্বাচন – এগ্রিফাউন্ড ডার্করেড, ভীমা ডার্করেড, ভীমা রাজ, আরকা কল্যাণ, ফুলে সফেদ ইত্যাদি।

বীজের পরিমাণ –

৭-৮ কেজি প্রতি হেক্টরের জন্য থাইরাম, কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা ২ গ্রাম/কেজি বীজ শোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

বীজতলা তৈরী (Preparing seedbed) –

  • জুন-জুলাই মাসে খারিফ পেঁয়াজের বীজতলা তৈরী করা হয়।
  • প্রায় ১ মিটার চওড়া ও ৩-৪ মিটার লম্বা মাপের ২০-২৫ সেন্টিমিটার উঁচু বীজতলা আদর্শ। দুই বীজতলার মাঝে ৭ সেমি ব্যবধান রেখে দিলে বীজতলায় মাধ্যমিক পরিচর্যার সুবিধা হয়।
  • বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ৭-১০ দিন ঢেকে রাখলে আগাছা কম হবে এবং বিভিন্ন রোগের আক্রমণও অনেক কম হবে।
  • ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি মিশ্রিত জৈব সার বীজতলায় প্রয়োগ করুন।
  • বীজতলার মাটিতে কেঁচো সার, পাতা পচা সার, গোবর সার মিশিয়ে বীজতলাতে বীজ বপন করা হয়।
  • বেলে দোআঁশ মাটি ঝুরঝুরে করে ৪-৫ সেমি. দূরে দূরে সারি করে বীজ বপন করা হয়।
  • বীজ বপনের পর ঝুরো কম্পোস্ট সার দিয়ে ভালো করে ঢেকে ঝাঁঝরি দিয়ে হালকা সেচ দিতে হবে।
  • পুরো বীজতলা খড় দিয়ে ঢেকে দিলে মাটির সঠিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
  • অঙ্কুরোদগমের ঠিক পরেই খড়ের আচ্ছাদন তুলে দিতে হবে।
  • রোগ-পোকা দেখা মাত্র স্প্রে করতে হবে।
  • ৬-৭ সপ্তাহের চারা মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।
Onion farm

জমি তৈরী এবং সার প্রয়োগ (Land preparation and fertilizer application) –

  • চারা রোপণের পূর্বে এমনি সবজির মতো মাটি ভালোভাবে চাষ করে ঝুরঝুরে, আগাছা ও নুড়িকাঁকড় মুক্ত করে নিতে হবে।
  • মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি হেক্টরে ২০-২৫ টন জৈব সার, এনপিকে – ১২০:৬০:৬০ কেজি/হেক্টর এবং সালফার ৩০ কেজি/হেক্টর দরকার ভালো ফলনের জন্য।
  • জমি তৈরীর সময় পুরো ফসফেট, পটাশ, সালফার এবং ১/২ কেজি ইউরিয়া বা N এবং বাকি ১/২ N দুইবার চাপান হিসেবে ৩০ দিন ও ৪৫-৫০ দিন রোপণের পর প্রয়োগ করতে হবে।
  • ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি কালচার ১৫০০ গ্রাম ঝুরঝুরে কেঁচো সারের সাথে মিশিয়ে আলাদাভাবে মুলো জমিতে প্রয়োগ করুন।
  • খারিফ মরশুমে বেড তৈরী করে চারা রোপণ করা হয়। ১.৮ এম চওড়া এবং লম্বা (জমির অবস্থা অনুযায়ী) দুটি বেডের মাঝে ১ ফুট ব্যবধান রাখা হয়। জলসেচ, জল নিষ্কাশন নালা, মাধ্যমিক পরিচর্যা ইত্যাদির সুবিধা হয়।
  • ৬-৭ সপ্তাহের চারা কার্বেন্ডাজিমে শিকড় চুবিয়ে শোধন করা হয়।
  • এক সারি থেকে অপর সারির দূরত্ব ১৫ সেমি. এবং এক চারা থেকে অপর চারার দূরত্ব রাখতে হবে ১০ সেমি.।

ফসল তোলা এবং ফলন (Onion Harvesting and Yield) –

  • খারিফ মরশুমে গাছের পাতা নুইয়ে পড়ে না সেই রকমভাবে। পরিণত গাছে তাই পূর্ণ আকার এবং পরিপক্কতা দেখে ফসল চয়ন করা হয়।
  • দেরীতে ফসল তুললে রোগ আক্রমণের সম্ভবনা বেশী থাকে।
  • সঠিকভাবে বিজ্ঞান্সম্মত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ টন ফলন পাওয়া যায়।

নিবন্ধ - ড. বিপ্লব দাস (বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, জলপাইগুড়ি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ)

Image source - Google

Related Link - (White sandalwood) শ্বেত চন্দন চাষ করে কৃষক উপার্জন করতে পারেন ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত

(Digital Agriculture) ডিজিটালে কৃষির মার্কেটপ্লেস নিয়ে হাজির ‘ফার্মিং দ্য ওয়েব’

(Low Budget Mini Sprayer) এই মিনি স্প্রেয়ারের সাহায্যে কৃষিকাজ হবে এবার আরও সহজ

English Summary: Profitable onion cultivation in Kharif season
Published on: 05 August 2020, 05:10 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)