Ruby Roman Grapes Farming: জেনে নিন সবচেয়ে দামি রুবি রোমান আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি

রুবি রোমান জাপানের এক প্রজাতির আঙ্গুর | এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আঙ্গুর | এই আঙুরের এক গোছার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।

রায়না ঘোষ
রায়না ঘোষ
Ruby Roman Grapes farming
Ruby Roman Grapes (image credit- Google)

রুবি রোমান জাপানের এক প্রজাতির আঙ্গুর | এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আঙ্গুর | এই আঙুরের এক গোছার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। দেখতে অনেকটা পিংপং বলের মত। পাওয়া যায়  জাপানের ইসিকোয়ায়। স্বাদ এতটাই মিষ্টি, আর সুন্দর যে কেউ আবার খেতে শুরু করলে থামতে চায় না। তবে এত দামী যে খুব কম লোকের সৌভাগ্য হয়েছে রুবি রোমান আঙুর খাওয়ার।

প্রায় অনেক বছর আগে জাপানের নিলামে ২৪ টি আঙ্গুর বিক্রি হয়েছিল ৮ লক্ষ ১৭ হাজারে অর্থাৎ একটি আঙ্গুর দাম ছিল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এই নিবন্ধে রুবি রোমানের চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

জমি নির্বাচন(Soil):

আঙ্গুর চাষের জন্য দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক মাটিতে আঙ্গুর চাষ ভাল হয়। জমি অবশ্যই উঁচু হ’তে হবে যেখানে জল দাঁড়িয়ে থাকবে না এবং প্রচুর সূর্যের আলো পড়বে এমন জায়গা আঙ্গুর চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে।

আরও পড়ুন -Okra Cultivation: বর্ষায় অধিক লাভে চাষ করুন ঢেঁড়স

জমি তৈরি ও রোপণ পদ্ধতি(Plantation):

ভালোভাবে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুর করতে হবে। তারপর ৭০ X ৭০ X ৭০ সে. মি. মাপের গর্ত করে তাতে ৪০ কেজি গোবর, ৪০০ গ্রাম পটাশ, ৫০০ গ্রাম ফসফেট এবং ১০০ গ্রাম ইউরিয়া গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে ১০/১৫ দিন রেখে দিতে হবে। যেন সারগুলো ভালোভাবে মাটির সাথে মিশে যায়। তারপর সংগৃহীত চারা গোড়ার মাটির বলসহ গর্তে রোপণ করে একটি কাঠি গেড়ে সোজা হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে এবং হালকা জল সেচ দিতে হবে। শাখা-কলমের বেলায় প্রায় ১ ফুট দীর্ঘ শাখা-খন্ডের ১/৩ অংশ মাটির নিচে কাত করে পুঁতলে ভালো হয়।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

গোড়ার মাটি আলগা করে তাতে ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা দরকার। ১-৩ বছরের প্রতিটি গাছে বছরে ১০ কেজি গোবর, ৪০০ গ্রাম পটাশ, ৫০০ গ্রাম ফসফেট এবং ১০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। পটাশ সার ব্যবহারে আঙ্গুর মিষ্টি হয় এবং রোগ বালাইয়ের উপদ্রব কম হয়।

পরিচর্যা:

কান্ড ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে আঙ্গুর গাছের ফলন বৃদ্ধি হয় এবং ফুল ঝরে পড়া কমে যায়। ছাঁটাইয়ের ৭ দিন আগে এবং পরে গোড়ায় হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ রোপণের পর মাচায় ওঠা পর্যন্ত প্রধান কাণ্ড ছাড়া অন্য সকল পার্শ্বের শাখা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।আঙ্গুর গাছের বিভিন্ন পরিচর্যার মধ্যে একটি হলো ডাল ছাঁটাই। প্রতিবার ফুল ধরার পর ডাল বা শাখাটি পুরনো হয়ে যায় এবং ঐ ডাল বা শাখায় আর ফুল-ফল ধরে না। এসব পুরনো ডাল বা শাখা গাছে থাকলে নতুন শাখা-প্রশাখা গজায় না।

আঙ্গুর ফল পুষ্ট হওয়ার পর পাকা অবস্থায় গাছ থেকে পাড়তে হয়। আগে পেড়ে ফেললে পরে আর পাকে না। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আঙ্গুর গাছ ছাঁটাই করলে মার্চ-এপ্রিলে ফল পাওয়া যায়। তবে দেরিতে ফল সংগ্রহ করলে আকাশ একটানা মেঘলা থাকা বা বৃষ্টির কারণে ফল টক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ গরমে আঙ্গুর ফলে চিনিজাতীয় পদার্থ বেড়ে যায়। ফল ঠিকমতো বড় ও মিষ্টি না হলে, ফল ধরার পর প্রতি লিটার জলে ৫০ মিলিলিটার ইথরেল ও ১০০ মিলিগ্রাম জিবারেলিক অ্যাসিড পাউডার (জিবগ্রো ৫জি বা বারান্টো-৮০%) একত্রে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন -Betel Vine Cultivation: পান চাষের এই বিশেষ পদ্ধতিতে আপনিও হবেন লাভবান

Published On: 12 July 2021, 03:08 PM English Summary: Ruby Roman Grapes Farming: Learn the most expensive ruby roman grape cultivation method

Like this article?

Hey! I am রায়না ঘোষ . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters