
প্রচুর পরিশ্রম করে, সার, জল ও বীজ খরচ করেও অনেক সময় দেখা যায় ফসল ভালো হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ — মাটির স্বাস্থ্য অবনতি। ঠিক যেমন মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন রক্তপরীক্ষা, তেমনি কৃষিতে সফল হতে দরকার মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এই ব্লগে আমরা জানবো, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি, কীভাবে করবেন, ও কোথায় করবেন।
মাটির স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝায়?
মাটির স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় মাটির:
- পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ (NPK, Sulphur, Zinc ইত্যাদি)
- অম্লতা বা ক্ষারতা (pH)
- জৈব উপাদান বা অর্গানিক ম্যাটার
- জলধারণ ক্ষমতা ও গঠন
এগুলো ঠিক থাকলেই গাছ দ্রুত বাড়ে, ফলন হয় বেশি।
কেন জরুরি মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা?
১. সঠিক সার ব্যবহারের জন্য
অনেকে না বুঝে বেশি সার দেন, ফলে মাটির ক্ষতি হয়। মাটির পরীক্ষা করলে বোঝা যায় কোন সার কতোটা দরকার।
২. ফসলের ফলন বাড়াতে
মাটি অনুযায়ী সঠিক ফসল ও সার প্রয়োগ করলে ফলন ১৫-২৫% পর্যন্ত বাড়ে।
মাটির স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝায়?
মাটির স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় মাটির:
- পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ (NPK, Sulphur, Zinc ইত্যাদি)
- অম্লতা বা ক্ষারতা (pH)
- জৈব উপাদান বা অর্গানিক ম্যাটার
- জলধারণ ক্ষমতা ও গঠন
এগুলো ঠিক থাকলেই গাছ দ্রুত বাড়ে, ফলন হয় বেশি।
কেন জরুরি মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা?
১. সঠিক সার ব্যবহারের জন্য
অনেকে না বুঝে বেশি সার দেন, ফলে মাটির ক্ষতি হয়। মাটির পরীক্ষা করলে বোঝা যায় কোন সার কতোটা দরকার।
২. ফসলের ফলন বাড়াতে
মাটি অনুযায়ী সঠিক ফসল ও সার প্রয়োগ করলে ফলন ১৫-২৫% পর্যন্ত বাড়ে।
কী কী বিষয় পরীক্ষা হয়?
মাটির নমুনা পরীক্ষায় সাধারণত নিচের উপাদানগুলো দেখা হয়:
উপাদান |
ভূমিকা |
N (নাইট্রোজেন) |
গাছের পাতা ও বৃদ্ধি |
P (ফসফরাস) |
শিকড় ও ফুল/ফল |
K (পটাশ) |
রোগ প্রতিরোধ ও ফল |
pH |
মাটির অম্লতা/ক্ষারতা |
Organic Carbon |
মাটির জৈব গুণমান |
Sulphur, Zinc, Boron |
গাছের সামগ্রিক স্বাস্থ্য |
কোথায় করবেন মাটির পরীক্ষা?
১. সরকারি মাটি পরীক্ষাগার (Soil Testing Lab)
প্রতিটি জেলার কৃষি দফতরের অধীনে মাটি পরীক্ষাগার আছে। সেখান থেকে মাটির হেলথ কার্ড (Soil Health Card) দেওয়া হয়।
→ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে জমি থেকে মাটির নমুনা পাঠাতে পারেন।
২. কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (KVK)
KVK-তে ফ্রি বা নামমাত্র মূল্যে মাটি পরীক্ষা হয়।
→ প্রশিক্ষণ, নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতিও শেখায়।
৩. চলন্ত মাটি পরীক্ষাগার (Mobile Soil Testing Van)
বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে মাটি সংগ্রহ করে রিপোর্ট দেয়। সময় মতো জানলে আপনি নিজের জমির নমুনা দিতে পারেন।
৪. বেসরকারি ল্যাব / অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবা
DeHaat, Agrostar, Krishify, AgriBazaar অ্যাপের মাধ্যমেও অনেকে এখন মাটি পরীক্ষার সুবিধা পান।
কীভাবে মাটির নমুনা সংগ্রহ করবেন?
- জমির চার-পাঁচটি জায়গা থেকে ১৫–২০ সেমি গভীর থেকে মাটি সংগ্রহ করুন।
- শুকিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে প্রায় ০.৫ কেজি মাটি বেছে নিন।
- একটি পরিষ্কার পলিথিন ব্যাগে ভরে নাম, জমির বিবরণ, গ্রামের নাম লিখে জমা দিন।
- বছরে একবার বা দু’বছরে একবার পরীক্ষা করা উচিত।
রিপোর্টে কী থাকবে?
- পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ (কম/মধ্যম/উচ্চ)
- pH মান
- কোন সার, কতোটা দিতে হবে — তার বিস্তারিত গাইডলাইন
উপসংহার
"মাটি ভালো তো ফসল ভালো" — এই কথাটা শুধু প্রবাদ নয়, বাস্তব সত্য।
মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে কৃষক বুঝতে পারেন কীভাবে কম খরচে বেশি ফলন করা যায়। শুধু ফলনের জন্য নয়, মাটির দীর্ঘমেয়াদি গুণমান রক্ষা করতেও এটি জরুরি।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের উচিত নিয়মিত মাটি পরীক্ষা করিয়ে, বিজ্ঞানের সাহায্যে চাষের পথে এগিয়ে যাওয়া।
বিশেষ পরামর্শ:
- নিজের এলাকার কৃষি সহায়ক অফিসার বা গ্রামীণ কৃষি বন্ধু কেন্দ্র থেকে নমুনা জমা ও রিপোর্ট সংগ্রহের সময় জেনে নিন।
- Soil Health Card India-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও তথ্য পাওয়া যায়: https://soilhealth.dac.gov.in
Share your comments