পৃথিবীতে চা পান করেন না, এমন মানুষ সম্ভবত নেই। সারাদিন আমরা সকলেই কাজের অবসরে হোক বা গল্পের মাঝখানে বা কর্মব্যস্ত জীবনের পরে সঙ্গী হিসেবে চা-কেই বেছে নিই। চা আমরা সকলেই পান করি। কিন্তু এই চা-এর যে কতরকম তারতম্য আছে, তা হয়ত অনেকেরই অজানা। কেউ পছন্দ করেন গ্রীন টি, কেউ আবার ফ্লেবার্ড টি। কিন্তু এই গ্রীন টি আর ফ্লেবার্ড টি ছাড়াও বিভিন্ন ফুল থেকে তৈরি করা হয় সুপেয় চা, যা পান করলে আমাদের মনে আসে এক প্রশান্তি।
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ফুল থেকে চা তৈরি করা হয় -
গাঁদা – এই উদ্ভিদ থেকে তৈরি চা অন্ত্রের সমস্যা কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এই চা পান করলে কোলাইটিস, গ্যাসট্রাইটিস, আলসার, মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জবা – জবা হল আলঙ্কারিক উদ্ভিদ। ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই উদ্ভিদ টি থেকে তৈল উৎপাদন করা হয় এবং তা আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই উদ্ভিদটি সমগ্র বিশ্বজুড়ে ভেষজ চা তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদ থেকে তৈরি চা হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সূর্যমুখী – সূর্যমুখীর বীজে আছে ভিটামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ। যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। এর থেকে নিষ্কাশিত তৈল দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্যবহার করি।
ক্যামোমাইল - ক্যামোমাইল চা আমাদের স্ট্রেস কমাতে এবং খাবার হজম করতে সাহায্য করে । ক্যামোমাইল সবচেয়ে পরিচিত একটি জনপ্রিয় ভেষজ, যা সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। এটি শান্তিপূর্ণ নিদ্রা সুরক্ষিত করে এবং অনিদ্রার সমস্যা কমায় । ক্যামোমাইল থেকে এলার্জিক মানুষদের এই চা পান থেকে বিরত থাকা উচিত।
ড্যান্ডেলিয়ন - ড্যান্ডেলিয়ন গাছের পাতা ও ফুল থেকে ড্যান্ডেলিয়ন চা তৈরি হয় । এতে রয়েছে অপার ভিটামিন ও মিনারেল। এটি আমাদের কে মনকে শীতল আনন্দ প্রদান করে এবং বাত দ্বারা সৃষ্ট ব্যথা এবং ফোলা কে নিরাময় করে। এটি আমাদের পাচনতন্ত্র ও লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটায়।
ল্যাভেন্ডার – ল্যাভেন্ডার অন্দরমহল সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়। ল্যভেন্ডার থেকে পানীয় তৈরি হয়, যা আমরা চা রূপে পান করি। এই চা আমদের মনে প্রশান্তি আনে।
এছাড়াও অনেক ফুল আছে, যেগুলি থেকে চা তৈরির সাথে সাথে ওষুধ এবং বিভিন্ন সুগন্ধি দ্রব্যও তৈরি করা হয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments