বর্তমানে চাষাবাদ পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। চাষের ঐতিহ্যগত দৃষ্টান্তটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এবং কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে নতুন কিছু করতে চায়। এমন কিছু যা তারা সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে এবং কৃষিকাজ কেবল জীবিকা অর্জনের মাধ্যম নয়, মুনাফা অর্জনের একটি মাধ্যমও হয়ে উঠতে পারে, যাতে আমাদের কৃষক ভাইরাও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে এবং তাদের সন্তানদের জন্য সুবিধা অর্জন করতে পারে।
রজনীগন্ধা চাষের প্রবণতা কেন বেড়েছে?
বর্তমানে রজনীগন্ধা চাষের প্রবণতা বেড়েছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই ফুলের বাণিজ্যিক গুরুত্ব। রজনীগন্ধা ফুলের বিশেষত্ব হলো এই ফুলগুলো অনেক দিন সতেজ থাকে এবং বাজারে এর চাহিদা থাকে। রজনীগন্ধা ফুল শুধুমাত্র সাজসজ্জার জন্য নয়, অনেক ধরনের তেল তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।
কোথায় চাষ করা হয়
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশের কৃষকরা আজকাল রজনীগন্ধা চাষ করছেন। পাহাড়ি অঞ্চলে জুন মাসে এর চাষ হলেও সমতল এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসে এর চাষ শুরু হয়।
চাষের জন্য উপযুক্ত অবস্থা
রজনীগন্ধা ফুল চাষের জন্য উন্মুক্ত বায়ুচলাচল ও অধিক আলোক স্থান উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ ফলের বাগানে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন, ফলন বাড়বে বহুগুন
খরচ কম
রজনীগন্ধা ফুল চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর খরচ খুবই কম, কারণ এতে বেশি সেচ ও যত্নের প্রয়োজন হয় না। এমতাবস্থায় লাভ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এমন সময় ফুল আসে
রজনীগন্ধা গাছে ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ফুল ফোটা শুরু হয়। যেখানে এক হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করতে ১ থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়, সেখানে ফুলও কম পাওয়া যায় না। প্রথম বছরেই প্রতি হেক্টরে প্রায় 90 থেকে 100 কুইন্টাল ফুল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ মাত্র এক হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করে স্বাচ্ছন্দ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাভ করা যায়। এ কারণেই আজ কৃষকদের প্রবণতা গতানুগতিক চাষাবাদের পরিবর্তে আধুনিক মডেলের চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে এবং সে কারণেই প্রচুর পরিমাণে রজনীগন্ধা চাষ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বছরে তিনবার চাষ! নেই পচার টেনশন, মাস্কমেলন চাষ দেখাচ্ছে লাভের দিশা
Share your comments