মুম্বাই পুলিশ ভায়ান্দার এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এই অভিযোগে যে তারা আমুল বাটারের প্যাকেটে নিকৃষ্ট মানের মাখন বিক্রয় করছে। একটি রিপোর্ট মোতাবেক, কাশিমিরা রোড পুলিশ স্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ড অফ পুলিশ অতুল কুল্কার্নির দ্বারা পরিচালিত একটি পুলিশ দল ভায়ান্ডারা রোডে ওঁত পেতেছিলো কারণ তাঁরা আগে থেকেই অনেক খবর এই বিষয়ে খবর পেয়েছিলো, কাল তাদের হাতেনাতে ধরার কাজ সম্পন্ন হলো।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দ্বারা পাঠানো চিত্র থেকে এটা দেখা যাচ্ছে যে কিভাবে আমূল কোম্পানির প্যাকেটে খুব নিম্নমানের মাখন ভরে পাচার করা হয়েছে। ধরপাকড়ের পর পুলিশ দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে আমূলের প্যাকেটে মোড়া হাজার কেজি মাখন বাজেয়াপ্ত করেছে। আমূলের মতো এত বৃহৎ ও চালু কোম্পানির প্যাকেট কি করে দুষ্কৃতিদের হাতে পৌঁছলও তা তদন্তের ব্যাপারে মুম্বাই পুলিশ একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করেছে।
খাদ্যকে লাভজনক করতে প্রকৃত উৎপাদিত খাদ্যবস্তুর বদলে যদি কোনো অবাঞ্ছিত পদার্থ ভরে বিক্রয় করা হয় যা মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাডাল্ট্রেশন। অবশ্য সারা ভারতেই এই অ্যাডাল্ট্রেশনের সমস্যা রয়েছে। দ্য ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) এই বিষয়ে বাজারে প্রচলিত সমস্ত ধরণের খাদ্যবস্তুকে ভালো করে যাচাই করার কাজ চালু করে দিয়েছে। দুধ, চা, কফি, তরকারি, দুগ্ধজাত দ্রব্য, এবং এর সাথে সাথে চাল গম ও অন্যান্য দানাসস্যও ভারতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি হয়, অবশ্য এই বিষয়ে অ্যানুয়াল পাবলিক ল্যাবরেটরি টেস্টিং রিপোর্ট একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে।
ফুড ইন্সপেক্টরেরা গুজরাটের সুরাট শহরের পৌরসভাকে সাথে নিয়ে এই ধরণের কুব্যবসায়ীদের ধরপাকড়ের ব্যবস্থা করেছে যারা প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যতে ভেজাল মেশাচ্ছে, বিশেষ করে দুধ আর ঘি তে, এই ভেজাল মেশানোর কাজটা তাঁরা বিক্রির আগের মুহূর্তে করে থাকে। এই ভেজাল মেশানো খাদ্যদ্রব্যগুলি তাঁরা কাটারগ্রাম ও ভারাচ এর বিভিন্ন মানুষের কাছে বিশুদ্ধ বলে বিক্রয় করে থাকে। এই ধরণের কাজ তদন্তকারী দল প্রথমবার ১২ই ডিসেম্বরে ছানবিন করে ছিলেন। সেই সময় তদন্তকারী আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৫কেজি কৃত্রিম মাখন ও ১৫ কেজি বনস্পতি ও ৪৮ প্যাকেট ভেজাল মাখন বাজেয়াপ্ত করেছিলো এবং এর সাথে উদ্ধার হয় ১৮০ কেজি ভেজাল মেশানো ঘি।
তথ্য় সংগ্রহ - Times Now
- প্রদীপ পাল([email protected])
Share your comments