হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন আর তারপরেই নতুন বছরের আগমন। নতুন বছরের শুরুতেই তিনটি খুশির খবর অপেক্ষা করছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের জন্য। তিনটি খুশির খবর হল- ১) বকেয়া 18 মাসের মহার্ঘ ভাতা, ২) বর্তমান ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের বৃদ্ধি ৩) আরেক দফার ডিএ বৃদ্ধি। এই তিনটি বিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা বকেয়া 18 মাসের মহার্ঘ ভাতা ও বর্তমান ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিল। ডিএ বাড়ানো হলেও ১৮ মাসের ডিএ এখনও বাকি পরে রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া ডিএ পাননি।
বেতন কমিশনের পরিভাষা অনুযায়ী, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হল কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির একটি একক। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পায়। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হ্রাস পেলে বেতন হ্রাস পায়। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের বেতন নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
সুত্রের খবর, ষষ্ঠ কমিশনের তরফে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের হার ছিল ১.৮৬। সপ্তম বেতন কমিশন তা বাড়িয়ে ২.৫৭ করেছে। কর্মচারীদের পক্ষে তা বাড়িয়ে ৩.৬৮ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা কেন্দ্রের বিচারাধীন রয়েছে। লেভেল-৩ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ ১১,৮৮০ টাকা থেকে ৩৭,৫৫৪ টাকা হতে পারে। লেভেল-১৩ ও ১৪ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সেই বকেয়ার পরিমাণ হতে পারে ১,৪৪,২০০ টাকা থেকে ২,১৫,৯০০ টাকা। যদিও এই মুল্যের পরিবর্তন করতে পারে সরকার।
বর্তমানে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৮০০০ টাকা। সপ্তম বেতন কমিশন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এখনও অব্দি ২.৫৭ করেছে। কর্মচারীদের পক্ষে তা বাড়িয়ে ৩.৬৮ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদি এমন হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন হবে ২৬,০০০ টাকা। ধরুন যদি এক জন কর্মচারীর বেতন ১৮,০০০ টাকা। তাহলে তাঁর ভাতা ব্যতীত তার বেতন ১৮,০০০ টাকা X ২.৫৭ = ৪৬২৬০ টাকা। এবং যদি ৩ গুন বেড়ে যায় তাহলে ভাতা ব্যতীত বেতন হবে ২৬০০০ X ৩.৬৮ টাকা = ৯৫৬৮০ টাকা।
Share your comments