ঝড়ের পর বৃষ্টির ধারায় নতুন দেখায় গাছপালা। ঠিক সেভাবেই ২০১৪-য় মোদি ঝড়ের পর অসংখ্য উদ্যোগের বৃষ্টিতে নতুন ভারত হয়ে উঠেছে এ দেশ। গরীব কিংবা বঞ্চিত, নারীশক্তি থেকে যুবশক্তি, কৃষি থেকে শিল্প ইন্ধন পেয়েছে দেশকে আত্মনির্ভর করার। মুদ্রালোন নিয়ে মহিলারা যেমন আজ স্বাবলম্বী, তেমনই যুবক যুবতিরা পেয়েছে স্টার্টআপের দীক্ষা। বেড়েছে শিক্ষালয়, বেড়েছে চিকিৎসালয়। গাড়ির চাকা ছোটাতে রাস্তা যেমন মসৃণ, রেলপথে তেমনই ছুটে চলেছে বন্দেভারত। অর্থনীতিতে দশম স্থানে থাকা ভারত এই নবছরে উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছে পঞ্চম স্থানে।
কৃষি প্রধান দেশে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছে মোদি সরকার। অন্নদাতা যত শক্তিশালী হবে দেশও এগোবে উন্নতির শিখরে। আর তাই ২০১৪-র পর অন্নদাতার মুখে হাসি ফোটাতে নানা প্রকল্প নিয়ে এসেছে বর্তমান সরকার।
দেশের কৃষকদের আয় যাতে বাড়ে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাতে ফসল যাতে সুরক্ষিত থাকে, কৃষি সংক্রান্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা যাতে কৃষকদের কাছে পৌঁছে যায়, এই ছিল প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প।
আরও পড়ুনঃ MSP বৃদ্ধি: কোন কোন ফসলের বাড়ল MSP ?
বৃষ্টি বেশি হোক বা কম এর খেসারত সবসময় দিতে হত কৃষকদেরই। ২০১৪র পর প্রধানমন্ত্রী নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা। আবহাওয়ার সমস্যায় ফসলের ক্ষতি হলেও এই প্রকল্পের আওতায় ফসলের সুরক্ষার উপর আস্থা পান ৪৭ কোটি অন্নদাতারা। জলের সংকট মেটাতে চালু হল হর খেত কো পানি "প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চয়ী যোজনা”।
ভালো উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় সঠিক তথ্যের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি খাতে আধুনিকিকরণ মোদী সরকারের অন্যতম বিশেষ পদক্ষেপ। এই ভরসায় কৃষকরা এগোচ্ছে স্মার্ট ফারমিংয়ের দিকে।
আরও পড়ুনঃ মিলবে জমি সঙ্গে বাড়িও! কিভাবে আবেদন করবেন বঙ্গের এই প্রকল্পে? রইল বিস্তারিত
কৃষকদের পাশে দাঁড়ানর জন্য মোদি সরকারের অন্যতম যোজনা, পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনা। যার সাহায্যে প্রতিবছর ১১ কোটি কৃষক সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে পেয়ে যান ৬০০০ টাকা।
কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করার জন্য তাঁদের e-nam এর সাহায্যে সরাসরি বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। দেশের প্রায় ১.৭৫ কোটি কৃষক এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষি খাতেও আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। দেশের কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে টেকনোলজি। কৃষকদের পড়ানো হচ্ছে ড্রোনের পাঠ। কম সময়, কম খরচ এবং কম শ্রমিক দিয়ে কিভাবে চাষ হবে সেই দিশা দেখাচ্ছে ড্রোন। ইতিমধ্যেই এর প্রচারের জন্য খরচ হয়েছে ১২৭ কোটি।
আরও পড়ুনঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশকের পরিচিতি
মেরে দেশ কি রতি সোনা উগলে, উগলে হিরে মোতি। সেই মাটিকে সুস্থ রেখে সোনার ফসল ফলানোর জন্য জৈব এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ পদ্ধতিকে বিশেষ জোর দিয়েছে সরকার। এনেছে পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়ানোর জন্য দুগ্ধ, মধু এবং মৎস্য পালনের দিকে কৃষকদের মনোযোগ দিতে বলছে মোদী সরকার। থাকছে সরকারি সুবিধাও। বিগত ৯ বছরে ৫১ শতাংশ দুগ্ধ উৎপাদন বেড়েছে আমাদের দেশে।
২০২৩ সালের অন্যতম বিশেষ পদক্ষেপ বাজরা উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয়া সংকল্প। এক সময় আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বাজরা উৎপাদন হত। সেই ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন করতে আন্তর্জাতিক মিলেট ইয়ার ২০২৩-র উদ্যোগ নিয়েছে নমো। বাজরার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি বাজেটে শ্রী অন্ন যোজনা আনা হয়েছে।
মোদী সরকারের হাত ধরে ভারতীয় কৃষির এক নতুন ছবি উপস্থাপিত হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে বহু যুবক যুবতি। আমাদের দেশ যে কৃষি প্রধান। তাই দেশের অগ্রগতির মূল বীজ এই কৃষি জমিতেই লুকিয়ে। আর সেই বীজকে জল, খাদ্য, মাটি সমস্ত কিছু দিয়ে বড় করে তুলছে মোদি সরকার।
Share your comments